দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিউডে নানা ভূমিকায় কাজ করছেন ফারাহ খান। ক্যারিয়ারের শুরুতে ছিলেন নৃত্যপরিচালক। হৃতিক রোশন, সালমান খান, আমির খান, শাহরুখ খানসহ প্রথম সারির প্রায় সব তারকাকে নাচিয়েছেন তিনি। এরপর কোরিওগ্রাফার থেকে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ফারাহ। সিনেমা নির্মাণ করলেও বর্তমানে তার পরিচিতি সফল ইউটিউবার হিসেবে।
এ পর্যন্ত ফারাহ চারটি ছবি পরিচালনা করেছেন। প্রথম দুটি সফল হলেও পরের দুটি-‘তিস মার খান’ ও ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’-বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে প্রযোজকদের বড় আর্থিক ক্ষতি হয়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফারাহ জানান, একসময় সফল সিনেমা তৈরি করতে পারছিলেন না তিনি। হাতে কোনো কাজও ছিল না। তখনই মাথায় আসে ইউটিউবে চ্যানেল খোলার চিন্তা।
বাড়ির রাঁধুনি দিলীপকে নিয়ে শুরু করেন ‘ভ্লগিং’। তার কনটেন্টে রান্নাসহ মজার কথোপকথন ও তারকাদের বাড়ির দৃশ্য দর্শকদের মন কাড়ে।
ফারাহ আরও জানিয়েছেন, ৩০০ কোটির সিনেমা বানিয়ে তিনি যতটা আয় করেছেন, তার চেয়েও বেশি আয় করেন ইউটিউব থেকে। তবে ঠিক কত আয় করেন, সে বিষয়ে সরাসরি কিছু জানাননি।
জানা গেছে, ইউটিউবে ব্র্যান্ড কোলাবরেশন করলে তার পারিশ্রমিক দাঁড়ায় ৫০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকার মধ্যে।
ফারাহ খানের তিন সন্তান-দিব্যা, অন্যা ও সিজার। বর্তমানে তাদের বয়স ১৭ বছর। ফারাহ বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। সেটার বিশাল খরচ রয়েছে। সে কারণেই এই কাজটা শুরু করি।
কাজের বিষয়ে ফারাহ বলেন, আপনার জীবন অন্য কারও চারপাশে আবর্তিত হতে পারে না। আমি মনে করি, খুশি ও ভালো থাকা ভেতর থেকেই আসা উচিত। কাজ আমায় খুশি দেয়, ভালো রাখে। তাছাড়া, ভালো লাগার মতো কাজ হলে আমি ৮০ বছর পর্যন্ত সেটি করতে পারব।
টিজে/টিএ