সাবেক সংসদ সদস্য ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, ৭ নভেম্বর আমাদের অনুপ্রেরণার দিন। এই দিনে আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে নতুন যাত্রা শুরু করেছিলাম। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই দিনের তাৎপর্য আরও গুরুত্বপূর্ণ। ফ্যাসিবাদের পতনের পর বাংলাদেশ নতুনভাবে এগিয়ে চলছে, আর আগামী জাতীয় নির্বাচন জাতির গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক দিনে আমরা সেই নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু করছি। বিপ্লব ও সংহতি দিবস আমাদের অনুপ্রাণিত করে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের পথে এগিয়ে যেতে, যেখানে জনগণের ভোটাধিকার ও বিচারের অধিকার নিশ্চিত হবে। সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এগিয়ে যাবে বিএনপি।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় নগরীর কেডিএ এভিনিউস্থ তেঁতুলতলা মোড়ে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু আরও বলেন, জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে আবার ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল, যা ছিল দেশের অগ্রগতির এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। মাত্র চার বছরে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশে আমূল পরিবর্তন আনেন এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করেন।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ উন্মুক্ত হয়েছে। এখন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের চর্চা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জুলাই গণআন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পাশাপাশি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও জুলাই গণআন্দোলনে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ মীর মোহাম্মদ বাবু এবং দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুল গফ্ফার। সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শেখ মোশাররফ হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু ও আসাদুজ্জামান মুরাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু ও অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, ইকবাল হোসেন খোকন, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দিপু, নিজাম উর রহমান লালু, এডভোকেট গোলাম মওলা, আনোয়ার হোসেন, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইউসুফ হারুন মজনু, মজিবর রহমান ফয়েজ, গিয়াস উদ্দিন বনি, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, রফিকুল ইসলাম শুকুর, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কামরান হাচান, শরিফুল ইসলাম বাবু, শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, ইশহাক তালুকদার, এইচ এম আবু সালেক, কাজী মাহবুবুল হক, হাসান মেহেদী রিজভী, আকরাম হোসেন খোকন, এডভোকেট মুজিবর রহমান, রবিউল ইসলাম রবি, মেজবাহ উদ্দিন মিজু, মহিউদ্দিন টারজান, আব্দুল জব্বার, ওমর ফারুক, আসলাম হোসেন, ইলিয়াস মল্লিক, মেহেদী হাসান সোহাগ, জাহিদ কামাল টিটো, শামসুর রহমান, মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
আরপি/ টিকে