ম্যাচে কোনো গোল করেননি, তবে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই যে দারুণ নৈপুণ্যে সতীর্থকে দিয়ে গোল করিয়েছেন, তাতেই তরুণ ফরোয়ার্ড এস্তেভাও উইলিয়ানে মুগ্ধ চেলসি কোচ এন্টসো মারেস্কা।
প্রিমিয়ার লিগে শনিবার রাতে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে চেলসি পজেশন রাখায় ও আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য করলেও, প্রথম গোলের জন্য বেশ ভুগতে হয় তাদের।
দ্বিতীয়ার্ধে ষষ্ঠ মিনিটে অবশেষে ‘ডেডলক’ ভাঙেন মালো গুস্তো। তবে ব্যবধান ন্যূনতম হওয়ায় তখনও ম্যাচ কোনো দিকে হেলে ছিল না। ৬৪তম মিনিটে ফরোয়ার্ড লিয়ামের জায়গায় নেমেই দৃশ্যপট পাল্টে দেন এস্তেভাও।
বদলি নামার পরের মিনিটেই ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে মাঝ বরাবর পাস বাড়ান ১৮ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড, সতীর্থ পেদ্রো নেতোর পা ছুঁয়ে বল যায় পেনাল্টি স্পটের কাছে জোয়াও পেদ্রোর কাছে। জোরাল শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৭৩তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দলকে সহজ জয়ের পথে এগিয়ে নেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড পেদ্রো নেতো।
পালমেইরাস থেকে গত জুনে চেলসিতে যোগ দেওয়া এস্তেভোঁ এখনও মূলত বদলি হিসেবেই খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। তেমনই এদিন মাঠে নেমেই এক মিনিটের মধ্যে যেভাবে দলের জয়ে অবদান রাখলেন, তাতে খুব খুশি মারেস্কা।
“এই ম্যাচের আগে আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। এই ম্যাচগুলো প্রায়ই সমস্যা তৈরি করে, খুবই ট্রিকি। সবাই ভাবে, লড়াইটা সহজ হবে।”
“আমি বুঝতে পারছি, প্রথমার্ধে আমাদের পারফরম্যান্সে মানুষ খুশি ছিল না, কারণ আমরা গোল করিনি। এরপর এস্তেভোঁ আসতেই দলের প্রাণশক্তি বেড়ে যায়, কারণ মানুষ এই ধরনের খেলোয়াড় পছন্দ করে।”
এস্তেভোঁর মেধা ও সামর্থ্যে আস্থার কোনো কমতি নেই কোচের। তবে নতুন পরিবেশে তাকে মানিয়ে নিতে আরেকটু সময় দিতে চান তিনি।
“তার মেধা দেখতেই পাচ্ছেন। সে যেন এখানে মানিয়ে নিতে পারে, এজন্য আমরা তাকে সাহায্য করছি এবং তাকে খেলার যথার্থ সুযোগ দিচ্ছি। সে ব্রাজিল থেকে এসেছে, তাকে এখানে মানিয়ে নিতে হবে, তবে ভবিষ্যতে সে শুরুর একাদশে খেলবে।”
পয়েন্ট তালিকার তলানির দলের বিপক্ষে জিতে লিগ টেবিলেও লাফ দিয়েছে চেলসি। ১১ ম্যাচে ছয় জয় ও দুই ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা।
তাদের চেয়ে ৬ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল।
আর ১০ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি।
এমআর/এসএন