নির্বাচনের জন্য বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য আটকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে নির্বাচনের জন্য বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, এমনকি মানুষের পারিবারিক সিদ্ধান্তও স্থগিত-স্থবির হয়ে আছে। তারা বলছে; আমরা নির্বাচনের পরে করব। মানুষ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চায়। দেশের মানুষের সব সিদ্ধান্ত এখন স্থগিত।’
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ক্র্যাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আগামীর উন্নত জাতি গঠনে দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ’ শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বইটির লেখক-প্রকাশক ও নিউ হোপ গ্লোবালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন।
আমীর খসরু বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষা তীব্র হলেও একটি পক্ষ বিলম্বিত করতে মাঠে নেমেছে। পক্ষটি মূলত গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে। যারা বিলম্বিত করতে চায়, তারা কি গণতন্ত্রের পক্ষের মানুষ? বিশ্বাস করা যায়?’
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যে সংবিধানের অধীন শপথ গ্রহণ করেছে, সেই সংবিধানের অধীনে গণভোটের আয়োজনের কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, ‘সংবিধানের স্পিরিটের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার গঠন হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান আছে বর্তমানে।
যে সংবিধানের অধীনে অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে, এই সংবিধানে গণভোটের কোনো অপশন নেই। এখন গণভোট নির্বাচনে আগে কেন, নির্বাচনের দিনও গণভোট করা এই সংবিধান গ্রহণ করবে না।’
তিনি আরো বলেন, “গণভোট নির্বাচনের দিনে আয়োজন করার সিদ্ধান্তে বিএনপি একমত হয়ে উদারতার পরিচয় দিয়েছে, যাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি সহনশীল পরিস্থিতি বজায় থাকে। দেশে পরস্পরের মধ্যে সম্মানবোধ থাকে, বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যেসব প্রস্তাবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ আছে, সেগুলোয় ঐকমত্য হয়নি।
নোট অব ডিসেন্ট যেখানে, সেখানে দ্বিমত পোষণ করা হয়েছে। দ্বিমত পোষণ করার অর্থ হচ্ছে ঐকমত্য হয়নি। যে বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, সেটাও গণভোটে যেতে পারে না। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু এখন ঐকমত্য হয়নি, এমন অনেক দাবিও উত্থাপন করা হচ্ছে।”
দ্য ফিন্যান্স টুডের নির্বাহী সম্পাদক শাহীন আবদুল বারীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জাতীয়তাবাদী যুবদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক প্রমুখ।
এমআর/এসএন