জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ না পেয়ে হতাশ আফগান সরকার

ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠী তালেবান। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তানকে সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানোয় তালেবান সরকার হতাশা প্রকাশ করেছে।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের ৩০তম জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (কপ৩০) সোমবার ব্রাজিলে শুরু হচ্ছে। এই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।

আফগানিস্তানের জাতীয় পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা (এনইপিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে কপ৩০ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি; এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়।

এর আগে, গত বছর তালেবান সরকার কপ২৯ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল। তবে আলোচনায় সরাসরি অংশগ্রহণকারী নয়, বরং আয়োজক দেশ আজারবাইজানের ‌‌‘‘অতিথি’’ হিসেবে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। আফগানস্তিানের ক্ষমতাসীন সশস্ত্র শাকগোষ্ঠী তালেবান সরকারকে বিশ্বের কোনো দেশই স্বীকৃতি দেয়নি। বর্তমানে কেবল রাশিয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে তালেবান।

২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরা তালেবানের প্রশাসন বলছে, কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতা তাদের আন্তর্জাতিক জলবায়ু আলোচনা থেকে বিরত রাখতে পারে না। এনইপিএর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগান জনগণকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা জলবায়ুর ন্যায়বিচার, বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং মানবিক সংহতির নীতির পরিপন্থী।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশ্বের মোট গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় ০.০৬ শতাংশের জন্য আফগানিস্তান দায়ী হলেও দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানের প্রায় ৮৯ শতাংশ মানুষ জীবিকার জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল। গত এপ্রিলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আফগানিস্তান বার বার খরার সম্মুখীন হয়েছে; যা দেশটির জনগণের টিকে থাকার সক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং অনেক এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ৩০ মিটার পর্যন্ত নেমে গেছে।

কপ৩০ শুরুর আগে জাতিসংঘ বলেছে, ইতিহাসের অন্যতম উষ্ণ বছর হতে পারে ২০২৫ সাল।

সূত্র: এএফপি।

আইকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সারাদেশে রাতে শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হতে পারে Dec 25, 2025
img
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাস-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১ Dec 25, 2025
img
আইএল টি-টোয়েন্টি শেষে দেশে ফিরছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ Dec 25, 2025
img
হলিউড অভিনেতা রাসেল ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে নতুন মামলা Dec 25, 2025
img
বড়দিনে সপরিবার টলিউড তারকারা! Dec 25, 2025
img
অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তারেক রহমানকে স্বাগত : সারজিস Dec 25, 2025
img
তারেক রহমানের অপেক্ষায় গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি Dec 25, 2025
img
বিপিএল শুরুর আগে চট্টগ্রাম র‌য়্যালসের দল প্রত্যাহারের আবেদন Dec 25, 2025
img
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট Dec 25, 2025
img
হোয়াটসঅ্যাপের পর অন্যান্য অ্যাপেও নিষিদ্ধ হতে পারে অ্যাকাউন্ট Dec 25, 2025
img
ঢাকায় পৌঁছালেন তারেক রহমান Dec 25, 2025
img
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের পর হুমায়ুন কবীরের হুংকার: ‘অপেক্ষা করেন মুখ্যমন্ত্রী’ Dec 25, 2025
img
দেশের রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩২.৭৯ বিলিয়ন ডলার Dec 25, 2025
img
মোস্তাফিজের খেলায় চমক, গোয়েন্দারাও বুঝতে পারছেন না Dec 25, 2025
img
ডিসেম্বরের ২৩ দিনেই দেশে এলো আড়াই বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স Dec 25, 2025
img
ওপেনএআইয়ে ডিজনির ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ! Dec 25, 2025
যেই ইবাদতকে আমরা আমল মনে করি না। ইসলামিক জ্ঞান Dec 25, 2025
img
বনানীতে সড়কের পাশে নেতাকর্মীদের অবস্থান Dec 25, 2025
img
রোনালদোর সতীর্থকে গোল করিয়ে আল নাসরের বড় জয় Dec 25, 2025
img
সিলেটে পৌঁছে তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট Dec 25, 2025