মাদারীপুরের পৌর বাস টার্মিনালে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলার সদর উপজেলা শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে হঠাৎ বাস টার্মিনালে থাকা বাসের ফাঁকে পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ সময় বিকট শব্দে আওয়াজ পেয়ে পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যায় তারা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মাদারীপুরের পুলিশ সুপার নাঈমুল হাছান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমসহ পুলিশের কর্মকর্তারা। এ ঘটনার পর বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি (একাংশ) মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এর আগে প্রশাসনের সঙ্গে মিটিংয়ে বাস টার্মিনালে পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। এখন পুলিশ যদি সেভাবে ভূমিকা না নেয়, তাহলে কী করার আছে? তবে ককটেল বিস্ফোরণের পর টার্মিনালে থাকা প্রতিটি বাসের একজন করে শ্রমিককে অন্তত এই দুই দিন থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়মিত রাতে চারজন পাহারায় থাকেন।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্ষতির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু কোনো ক্ষতি হয়নি। আগামীকাল ১৩ নভেম্বরের লকডাউন বাস্তবায়নে এসব নাশকতা করা হচ্ছে। টার্মিনালে অনেকগুলো বাস রয়েছে। দুর্বৃত্তরা যেন কোনো ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারে, সে জন্য বাসশ্রমিকদের জনবল বাড়িয়ে টার্মিনালে পাহারায় রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নাশকতা ঠেকাতে পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।
এমআর/টিএ