সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতাশা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম (পান্না)। শনিবার (১৫ নভেম্বের) নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন।
মঞ্জুরুল আলম লেখেন, ‘‘সাংবাকিতার পুরস্কার হিসেবে ওরা প্রথমে আমাকে আখ্যা দিলো ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’। এরপর ‘কালচারাল ফ্যাসিস্ট’। তারপর রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উপাধি- “রাষ্ট্রীয় স*ন্ত্রাসী”। এমন রাজকপাল কজনের ভাগ্যে জোটে? একের পর এক ডিগ্রী থেকে উচ্চতর ডিগ্রী! অতঃপর অবকাশ যাপনে শ্রীঘর সফর প্রায় তিন মাসের। দেখা যাক- এরপরের ডিগ্রী কী জোটে...??’’
গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। রাজধানীর শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
ওই দিন সকালে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমানসহ অন্যরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিতে যান। ‘আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের সংবিধান’শীর্ষক ওই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজক ছিল ‘মঞ্চ ৭১’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম।
আলোচনা সভায় শেখ হাফিজুর রহমান প্রথমে বক্তব্য দেন। শেখ হাফিজুর রহমানের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মিছিল নিয়ে একদল ব্যক্তি ডিআরইউ মিলনায়তনে ঢোকেন।
এ সময় তাঁরা ‘জুলাইয়ের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘জুলাইয়ের যোদ্ধারা, এক হও লড়াই করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
একপর্যায়ে তারা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে আলোচনায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের (ডিএমপি) একটি দল এলে তারা পুলিশের কাছে লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমসহ অন্তত ১৬ জনকে তুলে দেন।
ইএ/টিকে