মার্কিন ফেডারেল আপিল আদালত মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিএনএনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি খারিজ করার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চুরি হয়েছে ট্রাম্পের এমন দাবিকে ‘বিগ লাই’ বলে বর্ণনা করেছিল সিএনএন।
ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক রাগ সিংহাল, যাকে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে নিয়োগ দিয়েছিলেন, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে কেবল নিউজ নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে তার ৪৭৫ মিলিয়ন ডলারের মামলা খারিজ করে দেন।
ফ্লোরিডার একটি জেলা আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সিএনএন ‘বিগ লাই’ শব্দবন্ধ ব্যবহার করে তাকে অ্যাডলফ হিটলারের ব্যবহৃত কৌশলের সঙ্গে যুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, নেটওয়ার্কটির ‘বিগ লাই’ ব্যবহার ছিল ‘বাদীর সঙ্গে আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যক্তিত্বদের একজনের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য সিএনএনের ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা’।
রায়ে সিংহাল বলেন, ‘অভিযোগ করা বক্তব্যগুলো মতামত, বাস্তবভিত্তিক মিথ্যা নয়, তাই সেগুলোর বিরুদ্ধে মামলা চলে না।’
১১তম সার্কিট কোর্ট অফ আপিলের তিন সদস্যের বেঞ্চও একই সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
দুই জনই ট্রাম্প-নিযুক্ত বিচারকের বেঞ্চটি বলে, ‘ট্রাম্প সিএনএনের বক্তব্যগুলোর মিথ্যাভাব যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারেননি। অতএব, তিনি মানহানির দাবি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।’
২০২৪ সালের নভেম্বরে নির্বাচন জিতে জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পরও ট্রাম্প মিথ্যাভাবে দাবি করে চলেছেন, তিনি ২০২০ সালের নির্বাচন জো বাইডেনের বিরুদ্ধে জিতেছিলেন।
সিএনএন ও অন্যান্য বড় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই তিক্ত। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানকে ‘ফেক নিউজ’ আখ্যা দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বারবার তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প একাধিক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং কয়েকটি মামলায় আর্থিক মীমাংসাতেও পৌঁছেছেন।
গত সপ্তাহে তিনি বিবিসির বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন, কারণ তারা ৬ জানুয়ারি ২০২১-এ তার সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনে হামলার আগের তার ভাষণের একটি অংশ বিভ্রান্তিকরভাবে সম্পাদনা করেছিল।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল উল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল, কিন্তু ২০২৪ সালের নভেম্বরের নির্বাচনের পর বিচার বিভাগীয় নীতির কারণে, যাতে বলা আছে, দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেন্টকে অভিযুক্ত বা প্রসিকিউট করা যায় না, মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
এমআর