বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় পলাতক আসামি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বদরুল আলম সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদলত।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টিকে নিশ্চিত করেছেন সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরের বাড়ির পাশে ভাঙাব্রিজ সংলগ্ন একটি চায়ের দোকান থেকে গোপন অভিযানে র্যাব-৪ বদরুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে রাতেই তাকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার বদরুল আলম সরদার জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং চরপাকেরদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও তিনি সাভার থানা যুবলীগের কর্মী।
স্থানীয়রা জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বদরুল আত্মগোপনে ছিলেন এবং সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুরুল আলম রাজিবের আশ্রয়ে অবস্থান করছিলেন। পাশাপাশি রাজিব-সমরের সঙ্গে ছিল তার ব্যবসায়িক সম্পর্কও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেমায়েতপুর এলাকার এক ব্যবসায়ী দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, বদরুলই সম্প্রতি সাভারের বিভিন্ন এলাকায় গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনার অর্থ জোগান দিয়েছে। এ কাজে তার নির্দেশে কয়েকজন স্থানীয় আওয়ামীপন্থি নেতাকর্মী অংশ নেয়। বদরুল রাজিব-সমরের ঘনিষ্ঠ লোক।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, বদরুল আলম সরদারকে র্যাব গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভারে এক ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। তাকে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে রিমান্ড শুনানি হয়নি, আগামীকাল রোববার হতে পারে। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা ও বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
আরপি/টিকে