কীর্তি সুরেশ, যাঁর স্বভাবসিদ্ধ সরলতা, নিখুঁত অভিনয় আর আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি তাঁকে আলাদা করে চিহ্নিত করে, সম্প্রতি খোলামেলা ভাবে জানিয়েছেন নিজের বদলে যাওয়ার গল্প। শুধু শরীর নয়, মানসিকতার বদলও যেন সমানভাবে ছুঁয়ে দিয়েছে তাঁকে।
কীর্তি জানিয়েছেন, অনেকেই তাঁকে আগের গোলগাল চেহারায় বেশি পছন্দ করতেন। তিনি নিজেও সে সময় খাবার নিয়ে কোনও নিয়ম মানতেন না। দিনে দশটি দোসা বা দশটি ইডলি খেয়ে ফেলতেন স্বচ্ছন্দেই। তবুও নিজেকে আটকাতেন না, কারণ খাওয়ার আনন্দ তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তবে বদল আসে ধীরে ধীরে। কঠোর ডায়েট নয়, বরং নিয়মিত ব্যায়ামকে জীবনের অংশ করে নেন তিনি। এক বছরে কমান প্রায় দশ কেজি ওজন।
অভিনেত্রীর আরেকটি স্বীকারোক্তি আরও চমকে দেয়, স্কিনকেয়ার শুরু করেছেন মাত্র চার বছর আগে। তার আগে নিজের ত্বক নিয়ে খুব একটা ভেবে দেখেননি। বয়স, অভিজ্ঞতা আর পেশার চাহিদা মিলিয়ে তিনি উপলব্ধি করেন নিজের যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব।
কীর্তির এই বদল কোনও হঠাৎ সিদ্ধান্ত নয়, বরং সময়ের সঙ্গে নিজের দিকে আরও মনোযোগ দেওয়া, নিজের শরীর ও মনকে বোঝার চেষ্টা। তাঁর গল্পে নেই অস্বীকার, নেই চাপে ভেসে যাওয়া, আছে টেকসই বদল আর আত্মবিশ্বাসের এক নতুন সংজ্ঞা।
নিজেকে ভালোবাসা আর সুস্থ থাকার টানাপোড়েনের মধ্যে তাঁর এই যাত্রা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বাঁচার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
আইকে/টিএ