শীতে অনেকেই ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা যেমন- সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে উদ্বিগ্ন হবার কিছু নেই। কারণ এমন কিছু সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, যা ঠাণ্ডা জনিত সাধারণ অসুস্থতা প্রতিরোধ করে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই সহজ ঘরোয়া সমাধানগুলি অনুসরণ করুন এবং শীতে সুস্থতা আর উষ্ণতা বজায় রাখুন।
প্রচুর পানি পান করুন
সাধারণ ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সহজ উপায় হলো সারাক্ষণ হাইড্রেটেড থাকা বা দেহের আর্দ্রতা বজায় রাখা। আর তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে তা আপনাকে সাধারণভাবে ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করবে। উষ্ণ পানি পান করা শীতের একটি দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে। আপনি গরম কফি বা চা পান করতে পারেন এবং মাঝে মাঝে আলাদা স্বাদ আনতে ভেষজ চাও পান করতে পারেন। এছাড়া সুপ একটি দুর্দান্ত বিকল্প। আপনার ভেষজ চায়ে স্বাদ বাড়াতে এর সঙ্গে কিছু লেবু ও মধু ব্যবহার করতে পারেন।
ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খান
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আপনার ডায়েটে ভিটামিন-সি যুক্ত ফল এবং শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সাধারণ সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের দেহে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। আপনি আপনার নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে কমলা, আমলকি, লেবু প্রভৃতি ফল যোগ করতে পারেন।
গরম পানিতে কুলকুচি করুন
মৃদু উষ্ণ জলে গার্গেল বা কুলকুচি করলে কাশিতে আক্রান্ত অবস্থায় স্বস্তি পাওয়া যায়। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা চা-চামচ লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করলে গলা খুসখুস ও কাশির উপশম হয়। লবণ ফুলে যাওয়া টিস্যু থেকে মিউকাস (শ্লেষ্মা) বের কর আনে এবং ঠাণ্ডার ফলে সৃষ্ট গলার অস্বস্তি দূর করতে সহায়তা করে।
বাষ্প
গরম বাষ্প শ্লেষ্মা পাতলা করতে পারে এবং নাক থেকে সহজে তা নিষ্কাশন করতে সহায়তা করতে পারে। সর্দির কারণে অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। দ্রুত স্বস্তির জন্য, একটি বড় পাত্রে ফুটন্ত পানি নিন। তোয়ালে দিয়ে আপনার মাথা পেঁচিয়ে রাখুন, পাত্রে উপর ঝুঁকে গিয়ে বাষ্পে শ্বাস নিন। গরম বাষ্প নাক দিয়ে গ্রহণ করলে নাক বন্ধ দূর হতে এবং সর্দি গলে বেরিয়ে যাবে। দিনে তিন থেকে চারবার এটি করতে পারেন।
বিশ্রাম
আমাদের দেহ নিজ থেকেই যে কোনো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। তবে সে জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রাম। তাই বলা হয় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া দেহের জন্য ভালো। ঠাণ্ডা জনিত সমস্যায় আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, তরল পান করুন এবং আপনার চারপাশের বাতাসকে আর্দ্র রাখুন।
মধু
মধুতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে পারে। এক বছরের বেশি বয়সী শিশুদের ঠাণ্ডা ও কাশি সারাতে মধু খুবই কার্যকর।
গলা ব্যথা বা কাশি প্রশমিত কিছুটা মধু গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। স্বাদ বাড়াতে লেবুর রস যুক্ত করা যেতে পারে, এতে পানীয়টিতে ভিটামিন-সি যুক্ত হবে। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
টাইমস/এনজে/জিএস