অনেকেই আগ্রহ নিয়ে উত্তেজনার সঙ্গে শীত মৌসুমের অপেক্ষা করেন এবং এই মৌসুমটা পুরো উপভোগ করতে চান। তবে এমন অনেকেই রয়েছেন, যারা শীত জনিত নানা অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করে বাজে সময় কাটাচ্ছেন। যদি আপনি দ্বিতীয় দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন, তবে প্রতিদিন কিছুটা মধু খেলে তা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে।
মধু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, খনিজ ও ভিটামিন দিয়ে পরিপূর্ণ। তাই এটি হতে পারে এই শীতের মৌসুমে আপনার বিভিন্ন সমস্যার সহজ সমাধান।
চলুন জেনে নিই, শীতের মৌসুমে কেন মধু খাওয়া উচিৎ-
গলার সমস্যায়
তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গলা ব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ফলে শুধু ব্যথা আর অস্বস্তি সৃষ্টি হয় না, বরং উৎপাদনশীলতা ও মনোযোগের চরম বিঘ্ন ঘটে। মধু গ্রহণের মধ্য দিয়ে দ্রুত এবং সহজেই এই গলা ব্যথা প্রতিরোধ ও নিরাময় করা সম্ভব।
সরাসরি দুই চামচ খাঁটি মধু খেয়ে নিন অথবা এটি আপনার চায়ের কাপে চিনির বদলে ব্যবহার করতে পারেন।
মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে তা সহজেই আমাদেরকে শীতের নানা অসুস্থতা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল সেসব ব্যক্তি সহজে বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগে আক্রান্ত হন।
মধু শ্বাসকষ্ট জনিত অসুস্থতা যেমন সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করতে পারে। এক গ্লাস হালকা গরম পানির সঙ্গে এক চামচ মধু, লেবুর রস এবং দারুচিনি মিশিয়ে পান করুন। এই মিশ্রণটি আপনাকে ফ্লু এবং অন্যান্য ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করবে।
ক্ষত নিরাময় করে
মধুর এই বিশেষ গুণ সম্পর্কে খুব কম লোকই জানেন। আপনার পুড়ে যাওয়া স্থানে মধু প্রাকৃতিক ক্ষত নিরাময়কারী হিসাবে কাজ করে। মধু কার্যকরভাবে পোড়া স্থানের ব্যথা কমিয়ে দেয়। মধু শরীরের ভিতর থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে ক্ষত সারিয়ে তোলে। পোড়া স্থানের উপরে মধু ছড়িয়ে দিন এবং গজ দিয়ে আলগাভাবে পেঁচিয়ে রাখুন। প্রতি পাঁচ-ছয় ঘণ্টা অন্তর অন্তর নতুন করে ড্রেসিং করুন। কাটা স্থানের ক্ষত চিকিৎসার জন্য মধু অ্যান্টিবায়োটিক মলম হিসাবেও কাজ করে।
ত্বকের পরিচর্যায় মধু
মধু শুষ্ক ত্বক বা ঠোঁট ফেটে যাওয়ার বিরুদ্ধে সেরা প্রাকৃতিক সুরক্ষা। শীতের মৌসুমের রুক্ষতার বিরুদ্ধে ত্বকের সুরক্ষার জন্য মধুর সঙ্গে নারকেল তেল, ল্যানলিন, ভিটামিন-ই প্রভৃতি উপাদান মিশিয়ে ঘরোয়া লোশন এবং লিপ বাম প্রস্তুত করতে পারেন। তথ্যসূত্র: দ্যা ইন্ডিয়ান টাইমস
টাইমস/এনজে/জিএস