নির্বাচনে যেকোনো কারসাজি দেশের জন্য বিপজ্জনক : জাহেদ উর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান বলেছেন, সম্প্রতি জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্য ইতিমধ্যেই যথেষ্ট আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে। শাহজাহান চৌধুরীর ব্যক্তিগত বক্তব্য হলো তার দলের কেন্দ্রীয় একটি কর্মকৌশলের অংশ। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারের উচিত এ বিষয়ে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়া। এই নির্বাচনটা যদি কোনোভাবে কারসাজির শিকার হয় তবে আমাদের ভবিষ্যৎ খুব ডিজাস্টার পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেল জাহেদস টেইক-এ এসে এ বিষয়ে তিনি কথা বলেন। তিনি বলেন, জামায়াতের বক্তব্যে তাদের আসল উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়নি। শাহজাহান চৌধুরীর মতে তিনি তার বক্তব্যে তিনি পুলিশ ও প্রশাসনকে দেশের স্বার্থে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করতে চেয়েছিলেন। তিনি দাবি করেন, তার বক্তব্যকে ভিন্নভাবে প্রচার করা হয়েছে, যা ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতা উস্কানি দিচ্ছে।

জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘জামায়াতের সমালোচনা করলে তা ইসলামের সমালোচনা হিসেবে দেখানো হয়, ইসলামবিদ্বেষী বা নাস্তিক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আমি এটি বহুবার দেখেছি। জামায়াতের তৃতীয় শ্রেণীর এই কৌশল কতটা কার্যকর তা ভেবে দেখা দরকার।’

তিনি আরো বলেন, সাধারণ ভোটাররা মূলত লিবারেল এবং তারা জামায়াতকে ভোট দেয় না।তবে আওয়ামী লীগের সমর্থকরা যদি তাদের সুবিধার কারণে জামাতকে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে প্রশাসনও সেই পক্ষে কাজ করতে পারে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে যারা জামায়াত বা বিএনপির সাথে জড়িত, তাদের অনেকেই শেখ হাসিনার আমলে চাকরিতে এসেছে। কেউ কেউ সামান্য আগে যোগ দিয়েছেন, তবে তাদের ক্যারিয়ারের বড় অংশ শেখ হাসিনার সময়ে হয়েছে। অনেক আওয়ামী লীগ সমর্থকও এখন বিএনপির পক্ষে কাজ করার চেষ্টা করতে পারেন। মাঠ প্রশাসন—ডিসি, রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কর্মকর্তারা সম্ভাব্যভাবে জামায়াতের পক্ষে কাজ করার চেষ্টা করতে পারে।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আশরাফুলের কাজ নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ রাজ্জাক Nov 25, 2025
img
‘সুগার ড্যাডি’ চক্র বন্ধ চেয়ে আইনি নোটিশ Nov 25, 2025
img
নির্বাচনের জন্য বিএনপি পুরোপুরি প্রস্তুত: রিজভী Nov 25, 2025
img
বিয়ে করলেন কণ্ঠশিল্পী পূজা Nov 25, 2025
img
ধানের শীষ মানুষের আস্থার প্রতীক : জালাল উদ্দিন Nov 25, 2025
img
বাংলাদেশকে সামুদ্রিক সহযোগিতা কাঠামো প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাকিস্তানের Nov 25, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের রায় ৪ ডিসেম্বর Nov 25, 2025
img
১২ বছরের বাচ্চাও এমন ভুল করবে না, আকবরের স্বীকারোক্তি Nov 25, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ অনুমোদন Nov 25, 2025
img
প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : পরিবারসহ হাসিনার মামলার রায় ১ ডিসেম্বর Nov 25, 2025
img
ভিসা জালিয়াতির বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নতুন সতর্কতা জারি Nov 25, 2025
img
আবার প্রেমের গুঞ্জনে রহস্য বাড়ালেন আরিফিন শুভ-ঐশী Nov 25, 2025
img
মুসলিম ব্রাদারহুড শাখাগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ গোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ ট্রাম্পের Nov 25, 2025
img
প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু, ফের বন্ধ ক্লাস Nov 25, 2025
img
আগামী দিনে রাষ্ট্রপতি হবেন খালেদা জিয়া, প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান: বুলু Nov 25, 2025
img
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৬৬৫ মামলা Nov 25, 2025
img
সাভারের আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার Nov 25, 2025
img
না ফেরার দেশে গায়িকা রোজা Nov 25, 2025
img
গণভোট অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন Nov 25, 2025
img
টাকা ফেরতের চাপ, আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত অভিনেত্রী তানজিন তিশার Nov 25, 2025