রাজশাহীর তানোর উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া মেজর জেনারেল (অব.) শরীফ উদ্দিন ও মনোনয়নবঞ্চিত সুলতানুল ইসলাম তারেকের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, শরীফ উদ্দিনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সন্ধ্যায় উপজেলা সদরে মশাল মিছিল বের করেন সুলতানুল ইসলাম তারেকের সমর্থকেরা। এ সময় শরীফ উদ্দিনের অনুসারীরা সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
সুলতানুল ইসলাম তারেক বলেন, প্রার্থী পছন্দ না হলে সারাদেশেই বিক্ষোভ হচ্ছে, আমাদের এখানেও তাই হয়েছে। আমার অনুসারীরা সন্ধ্যায় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল বের করেন। তখনই শরীফ সাহেবের অনুসারীরা হামলা চালান।
তিনি আরও বলেন, শরীফ সাহেব তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিজানকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন এলাকায় কোনো বিক্ষোভ না হয়। তারই অংশ হিসেবে মিজানের লোকজন হামলা করেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় অবশ্যই অভিযোগ করব।
তারেক অভিযোগ করেন, তাদের নেতাকর্মীদের বহনকারী অন্তত ১৮টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। গাড়িগুলো ভাঙচুরের পর চাবিও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, তারেক সাহেবের লোকজন ১৫টি অটোরিকশায় এসেছে। এরপর তারা মশাল জ্বালিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গ্রামের মানুষ এ ধরনের দৃশ্য আগে কখনো দেখেনি। এটি শহর নয়, তাই তারা ভয় পেয়েছে।
এ বিষয়ে তানোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট উত্তেজনা ছিল। মারামারি হয়নি, তবে ঢিল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো আহতের তথ্য পাইনি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এমআর