সততা, সত্যনিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধে ব্রতী হয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ গঠনে ইএমই কোরের প্রশংসনীয় ভূমিকা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
গতকাল মঙ্গলবার নীলফামারীর সৈয়দপুর সেনানিবাসে ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে (২০২৫) প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে পৌঁছলে তাঁকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, কর্নেল কমান্ড্যান্ট অব দ্য কোর অব ইএমই, জিওসি, ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া এবং ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের কমান্ড্যান্ট অভ্যর্থনা জানান।
এ সময় সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অব দ্য অর্ডন্যান্স, অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলসহ ইএমই কোরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান ইএমই কোরের অধিনায়ক ও অন্যান্য কর্মকর্তার উদ্দেশে বক্তব্য দেন এবং কোরের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, গবেষণা, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন। বক্তব্যে তিনি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ইএমই কোরের বীর সেনানীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন। তিনি দেশ ও জাতি গঠনে ইএমই কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব সরঞ্জাম ও যানবাহন সচল রাখার পেছনে ইএমই কোরের প্রতিটি সদস্যের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। সততা, সত্যনিষ্ঠা ও কর্তব্যবোধে ব্রতী হয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ গঠনে ইএমই কোরের প্রশংসনীয় ভূমিকা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, কর্নেল কমান্ড্যান্ট অব দ্য কোর অব ইএমই, জিওসি ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, রংপুর এরিয়া, সেনা সদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা, কমান্ড্যান্ট, ইএমই কোরের কমান্ডাররা, ইএমই ইউনিটগুলোর অধিনায়ক এবং গণমাধ্যমের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
পিএ/এসএন