২০২৮ অর্থবছরের মধ্যে তারা বিশ্বব্যাপী ৪ হাজার থেকে ৬ কর্মী ছাঁটাই করার ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি কোম্পানি এইচপি ইনকর্পোরেটেড। এর উদ্দেশ্য হলো কাজের প্রক্রিয়া সহজ করা, পণ্য উন্নয়ন দ্রুততর করা, গ্রাহক সেবা ভালো করা এবং উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। এজন্য কোম্পানি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার বাড়াবে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বরা হয়েছে, এই ঘোষণার পর ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানি পালো আল্টো ভিত্তিক কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে।
এইচপির সিইও এনরিক লরেস বলেছেন, ‘পণ্য উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ কাজ এবং গ্রাহক সহায়তার সঙ্গে যুক্ত দলগুলো এই ছাঁটাইয়ের মধ্যে পড়বে। আশা করি, এই উদ্যোগের ফলে আগামী তিন বছরে ১ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে।’
এর আগে গত আগেই ফেব্রুয়ারিতে এইচপি ১ হাজার থেকে ২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছিল। এদিকে, এআই সক্ষম কম্পিউটারের চাহিদা বাড়ছে। চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে এইচপির চালানের ৩০ শতাংশের বেশি এআই সক্ষম পিসি ছিল।
মরগান স্ট্যানলির বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, ডেটা সেন্টারের চাহিদা এবং মেমরি চিপের দাম বাড়ার কারণে ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স নির্মাতাদের, যেমন এইচপি ও ডেল, লাভ কমে যেতে পারে। সার্ভার বাজারে প্রতিযোগিতা তীব্র হওয়ায় ডাইনামিক র্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি (ডির্যাম) ও ন্যান্ড মেমরি চিপের দামও বাড়ছে।
লরেস বলেন, ‘২০২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে আমরা এ প্রভাব অনুভব করব। প্রথমার্ধে আমাদের হাতে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে কম খরচের সরবরাহকারী বাছাই, মেমরি কনফিগারেশন কমানো এবং মূল্য সমন্বয় মতো পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের (এলএসইজি) তথ্য অনুযায়ী, এইচপি ২০২৬ অর্থবছরে শেয়ার প্রতি মুনাফা ২ দশমিক ৯০ থেকে ৩ দশমিক ২০ ডলারের মধ্যে আশা করছে, যা বিশ্লেষকদের অনুমান ৩ দশমিক ৩৩ ডলারের চেয়ে কম। তবে এইচপি প্রত্যাশা করছে প্রথম-ত্রৈমাসিকে শেয়ার প্রতি মুনাফা ৭৩ থেকে ৮১ সেন্টের মধ্যে থাকবে।
আরপি/এসএন