জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ চার দলের সমন্বয়ে হতে যাচ্ছে আরেকটি নতুন রাজনৈতিক জোট। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে জোটটি।
আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেশন হলে এই আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হবে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান হাসনাত কাইয়ুম ও এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাৎ টুটুল দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, চার দলের সমন্বয়ে আমরা একটি রাজনৈতিক জোট করতে যাচ্ছি। যেহেতু সামনে নির্বাচন, সেহেতু জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া হবে।
জানা গেছে, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ছয় দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্টের পর থেকে এই জোটের কার্যক্রমে কিছুটা নিষ্ক্রিয়তা দেখা দেয়। যার ফলে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
অন্যদিকে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে নির্বাচনী আসন সমঝোতা এখনো হয়নি। তবে, গণতন্ত্র মঞ্চের একটি সূত্রে জানা গেছে, মঞ্চের ৬টি দলের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ছাড়া বাকি পাঁচটি দলকে বিএনপির আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে মৌখিক আলোচনা হয়। কিন্তু রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে আসন ছাড় দেওয়ার বিষয়ে বিএনপি এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ফলে দলটির শীর্ষ নেতা মনক্ষুণ্ণ হয়ে জোট ছাড়েন।
গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখন আর গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে নেই। নতুন জোট করতে যাচ্ছি।
সূত্রমতে, চার দলের সমন্বয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করবে। সেই জোটের রূপরেখার তিনটি কাঠামো ঠিক করা হয়েছে। এই জোটের নাম ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ হতে পারে। দল চারটি হলো, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), ইউপি বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে একটি বৈঠক চলছে। বৈঠকে বৃহস্পতিবারের জোট গঠনের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। জোটের নাম, রূপরেখা ও এনসিপির অবস্থান নিয়ে আলোচনা চলছে।
এমআর/টিএ