দুইবার এগিয়ে গিয়েও লড়াইয়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারল না টটেনহ্যাম হটস্পার। প্রতিবারই দ্রুত ঘুরে দাঁড়াল পিএসজি। পরে অল্প সময়ে আরও দুইবার জালে বল পাঠিয়ে জয়ের পথে এগিয়ে গেল তারা। এরপরও দুই পাশের জালে জড়াল বল। কিন্তু ম্যাচের মোড় আর পাল্টাল না।
ঘরের মাঠে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি ৫-৩ গোলে জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে পিএসজি। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়েই পরের তিনটি স্থানে বায়ার্ন মিউনিখ, ইন্টার মিলান ও রেয়াল মাদ্রিদ। ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৬ নম্বরে নেমে গেছে টটেনহ্যাম।
গত মৌসুমের ইউরোপা লিগ জয়ী টটেনহ্যামের বিপক্ষে এই মৌসুমের শুরুতে উয়েফা সুপার কাপেও কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছিল পিএসজি।দীর্ঘ সময় পিছিয়ে থাকার পর, শেষ দিকে জোড়া গোল করে ম্যাচ টাইব্রেকারে টেনে নেয় ফরাসি ক্লাবটি। এরপর পেনাল্টি শুটআউটে জিতে ট্রফি উঁচিয়ে ধরে তারা।
এবারের দেখায় প্রথম মিনিট থেকে বেশিরভাগ সময় পজেশন রেখে আক্রমণের চেষ্টা করতে থাকে পিএসজি। ২০ মিনিটের মধ্যে গোলের জন্য চারটি শটও নেয় তারা, যদিও একটিও লক্ষ্যে ছিল না।
৩৫তম মিনিটে প্রথম প্রচেষ্টাতেই টটেনহ্যামকে এগিয়ে নেন রিশার্লিসন। রন্দাল কোলো মুয়ানির হেড পাস পেয়ে হেডেই গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ১০ মিনিট পর দর্শনীয় গোলে সমতা টানেন ভিতিনিয়া। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে গোলটি করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধে দুই দল মিলিয়ে এই দুটি শটই লক্ষ্যে ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে কোলো মুয়ানির বুলেট গতির ভলিতে আবার এগিয়ে যায় টটেনহ্যাম। যদিও, এই যাত্রায় ব্যবধান আরও অল্প সময় ধরে রাখতে পারে তারা। তিন মিনিট পর ডি-বক্সের ঢুকেই জোরাল শটে ফের পিএসজিকে সমতায় ফেরান ভিতিনিয়া। এরপর অল্প সময়ে আরও দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পিএসজি।
৫৯তম মিনিটে জোয়াও নেভেসের থ্রু বল ডি-বক্সে পেয়ে জোরাল শটে দলকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে নেন ফাবিয়ান রুইস। এর ছয় মিনিট পর জটলার মধ্যে শটে ব্যবধান বাড়ান একুয়েডরের ফরোয়ার্ড উইলিয়ান পাচো। ৭২তম মিনিটে কোলো মুয়ানির দ্বিতীয় গোলে লড়াইয়ে অল্প সময়ের জন্য হলেও নতুন নাটকীয়তার সম্ভাবনা জাগে। কিন্তু চার মিনিট পরই সফল স্পট কিকে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ভিতিনিয়া।
৫-৩ গোলে এগিয়ে জয়ের পথেও এগিয়ে যায় পিএসজি।
শেষ দিকে তাদের ডিফেন্ডার লুকাঁ এরনঁদেজ সরাসরি লাল কার্ড দেখলেও, লড়াইয়ে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
এমআর/টিএ