বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে সাত দিনে ৪৪ জন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২০ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিট কর্তৃক অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, মাদকাসক্ত, ডাকাত দলের সদস্য, কিশোর গ্যাং, চোরাকারবারিসহ মোট ৪৪ জন অপরাধীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর আরও জানায়, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১৩টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ১৪ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ২৫টি ককটেল, ১৬টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য গ্রেফতার ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনী বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিত টহল কার্যক্রম ও নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করছে। পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলে উদ্ভূত শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সেনাবাহিনীর এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হলে তা নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে অবহিত করার জন্য সাধারণ জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে।
টিজে/টিকে