পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণায় সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ, গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটি বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা একটি ভয়াবহ সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। সংসদ সদস্য প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশের প্রতি সরাসরি হুমকি বলেও মনে করছে জামায়াতে ইসলামী।
আজ বৃহস্পতিবার(২৭ অক্টোবর) রাতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে বলেন, “পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও পাবনা জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের নির্বাচনীয় প্রচারণায় বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থকদের দ্বারা দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা, গুলিবর্ষণ, গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে।”
বৃহস্পতিবার(২৭ নভেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি জগির মোড় এলাকায় এ বর্বরোচিত হামলায় অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে-যা একটি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশকে নস্যাৎ করার প্রকাশ্য অপচেষ্টা।
বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, “একদিন আগে একই এলাকায় জামায়াতের কর্মীদের ওপর বিএনপির স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলার পর আজকের এই সশস্ত্র আক্রমণ প্রমাণ করে যে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা একটি ভয়াবহ সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করে নির্বাচনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। একটি গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
“আমি এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি আহত সকল নেতা-কর্মীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং তাদের পাশে থাকার জন্য জেলা ও স্থানীয় নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছি।”
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশের প্রতি সরাসরি হুমকি। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর এবং যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান অব্যাহত থাকবে।”
এসএস/টিএ