যশোরের শার্শা উপজেলার যুবদলের তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) এ নোটিশ দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া।
শোকজ নোটিশ নেতারা হলেন— যুবদলের শার্শা উপজেলা আহ্বায়ক মো. মুস্তাফিজ্জোহা সেলিম ও বেনাপোল পৌর আহ্বায়ক মো. মফিজুর রহমান বাবু, সদস্য সচিব মো. রায়হানুজ্জামান দিপু।
নোটিশে এ তিন নেতার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানাতে পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের সম্মুখে কেন্দ্রীয় দপ্তরে উপস্থিত হয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর যুবদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন থাকার পরও তারা জনসম্মুখে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুবদলের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে, যা দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মুস্তাফিজ্জোহা সেলিম কালবেলাকে বলেন, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কেউ দলের ঊর্ধ্বে নয়। আমি শিগ্গিরই ঢাকায় কেন্দ্রীয় দপ্তরে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সামনে উপস্থিত হয়ে আমার বক্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা উপস্থাপন করব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যশোর-১ আসনে সাবেক নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তিকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। যেহেতু দল চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা এখনো ঘোষণা করেনি, তাই প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করিনি। তবে সাধারণ ভোটারদের ধানের শীষের প্রতীকের পক্ষে ভোট দেওয়া ও কাজ করতে বলেছি। চূড়ান্ত প্রার্থী যে হোক, একসঙ্গে ধানের শীষের প্রতীকের পক্ষে মাঠে কাজ করব।
এ ছাড়া শোকজপ্রাপ্ত অপর দুই নেতা মো. মফিজুর রহমান বাবু ও রায়হানুজ্জামান দিপু এ বিষয়ে একই কথা বলেন।
যশোর-১ সংসদ আসনে কেন্দ্রীয় যুবদলের এ নোটিশের পর শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর যুবদলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি শুরু হয়েছে।
এবি/টিকে