এক প্রেমকাহিনীর করুণ পরিণতি। বর্ণ বা জাতের পার্থক্যের কারণে মেয়ের বাবা ও ভাইদের হাতে মৃত্যু হয়েছে প্রেমিকের। প্রতিবাদে প্রেমিকের লাশকেই ‘বিয়ে’ করার সিদ্ধান্ত নেন মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নানদেড় এলাকায়। খবর : ইন্ডিয়া টুডে
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, সক্ষম টেট নামের এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় আঁচল মামিদ্বার নামে এক তরুণীর। পরিচয় একসময় প্রণয়ে গড়ায়। তবে আঁচলের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। দুই পরিবারের জাতের ভিন্নতা নিয়ে আপত্তি ছিল তাদের।
কিন্তু নানা হুমকি সত্ত্বেও টেটের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যান আঁচল। গত বৃহস্পতিবার আঁচলের ভাইয়েরা ও বাবা জানতে পারেন, তারা দুজন বিয়ে করতে যাচ্ছেন। এরপরই তারা টেটকে খুঁজে বের করে নির্মমভাবে পিটিয়ে, মাথায় গুলি করে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করেন। বাবা-ভাইদের এমন নৃশংসতায় হতবিহ্বল আঁচল শেষকৃত্যের সময় টেটের বাড়িতে যান এবং তিনি মৃতদেহে হলুদ মাখান এবং নিজের কপালে সিঁদুর পরেন। এভাবেই মৃত প্রেমিককে ‘বিয়ে’ করেন তিনি। এরপর তরুণী ঘোষণা করেন, জীবনের বাকি সময় তিনি টেটের বাড়িতেই তার স্ত্রী হিসেবে থাকবেন। আঁচল বলেন, ‘আমাদের প্রেম জিতেছে, সক্ষম মারা গেলেও আমাদের প্রেম বেঁচে আছে। আমার বাবা ও ভাইয়েরা হেরে গেছে।’ এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ভিডিওতে ধরা পড়েছে যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে আঁচল তার বাবা এবং ভাইদের ‘ঠান্ডা মাথায় হত্যার’ জন্য ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
আইআর/টিকে