বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র সোমবার (২৪ নভেম্বর) মারা গেছেন। বর্ষীয়ান এই তারকার প্রয়াণে চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে সাধারণ ভক্তদের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে, অভিনেতার অনুরাগীদের একাংশ দেওল পরিবারের ওপর চরম অসন্তুষ্ট প্রিয় অভিনেতাকে শেষ বিদায় জানানোর সুযোগ পাননি তারা।
পরিবার কেন শেষকৃত্যকে ব্যক্তিগত পরিসরে সীমাবদ্ধ রাখল এ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছিল নেটিজেনদের মাঝে। অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন হেমা মালিনী। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হেমা এই নিয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দা চলচ্চিত্র নির্মাতা হামাদ আল রেয়ামি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি নোট শেয়ার করেন। এই নোটে তিনি ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুর পর হেমা মালিনীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
হামাদ প্রকাশ করেছেন, তিনি হেমার সঙ্গে পরিবারের ব্যক্তিগত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া আয়োজনের সিদ্ধান্তের পেছনের কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। তিনি জানান, হেমা মালিনী তাকে জানিয়েছেন, ধর্মেন্দ্রর শেষ দিনগুলো ছিল ‘নিষ্ঠুরতা আর কষ্টে ভরপুর’। শেষের দিনগুলোতে অভিনেতার শারীরিক কষ্ট সইতে পারছিল না পরিবারও।
হামাদ হেমা মালিনীর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘শোকের তৃতীয় দিনে আমি প্রয়াত সুপারস্টার ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী কিংবদন্তি অভিনেত্রী হেমা মালিনীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। এটা ভিন্ন একটি বেদনাদায়ক, হৃদয়বিদারক ঘটনা, এমন একটি জিনিস যা আমি যতই চেষ্টা করি না কেন, আমার বোধগম্য হবে না।’
হামাদ আরও লেখেন, তিনি হেমার সঙ্গে বসেছিলেন এবং বুঝতে পারছিলেন যে অভিনেত্রী অনেক কষ্টে নিজের ভেতরের কষ্ট লুকানোর চেষ্টা করছেন। হেমা মালিনীর কথোপকথনের কথা বলতে গিয়ে হামাদ বলেন, হেমা তাকে বলেছেন, ‘ধর্মেন্দ্র সারা জীবন কখনও চাননি যে কেউ তাকে দুর্বল বা অসুস্থ দেখুক। এমনকি নিকটাত্মীয়দের কাছেও নিজের কষ্ট গোপন করতেন তিনি।’
তার কথায়, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া গোপন রাখার কারণ সম্পর্কেও হেমা মালিনী কথা বলেছিলেন। হামাদের মাধ্যমে ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এই বার্তায় হেমা গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘তিনি দুঃখিত যে তার ভক্তরা তাকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ পাননি। আর একজন ব্যক্তি মারা গেলে সিদ্ধান্ত পরিবারের ওপর নির্ভর করে।’
এমকে/এসএন