সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সুনামগঞ্জ-২ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী শিশির মনিরকে ঘিরে নতুন রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আমজনতা দলের সদস্য–সচিব তারেক রহমান বলেছেন, শিশির মনির দেশের জন্য ‘ন্যূনতম কোনো অবদান রাখেননি’। আন্দোলন–সংগ্রামের সময় তাঁর কোনো ছবি বা ভিডিও–প্রমাণও নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারেক রহমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের (বিএনপি) রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে মন্তব্য করছেন এমন ব্যক্তিদের অনেকেই অতীতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাঠে ছিলেননি। তাঁর ভাষায়, আইনজীবী, ছাত্র–জনতা যখন রাস্তায়, সুপ্রিম কোর্ট–হাইকোর্ট এলাকায় মিছিল করছিল—শিশির মনির তখন কোথাও ছিলেন না। এখন তিনি উপদেশ দিচ্ছেন, যা তার কাছ থেকে শোভন নয়।
তারেক রহমান দাবি করেন, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এক পক্ষের আইনজীবী হিসেবে শিশির মনির যুক্ত ছিলেন—এ সম্পর্কেও প্রশ্ন রয়েছে। তার ভাষায়, ‘নিজের অবস্থান যতটুকু—সেই মানদণ্ডেই তো অন্যকে জ্ঞান দেওয়া উচিত।’
বিবৃতিতে আমজনতার সদস্য–সচিব আরও বলেন, দেশে এখনো ‘ঝুঁকিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ’ বিরাজ করছে, যা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফিরে আসার পথে বাধা। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সময় তারেক রহমান ‘গুরুতর নির্যাতনের শিকার’ হয়েছিলেন এবং চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁর দাবি, একসময় এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল যে তারেক রহমানের নাম উচ্চারণ করাও ঝুঁকির ছিল।
তিনি বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরও জনগণ সহনশীল আচরণ দেখিয়েছে—তৎকালীন রাষ্ট্রপতিকে রাখা এবং সেনাবাহিনিসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি সম্মান বজায় রাখার মধ্য দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে। তার ভাষায়, এটি ছিল ‘বাংলাদেশপন্থী চেতনার বহিঃপ্রকাশ’। সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কিছু অংশ সমন্বিতভাবে কাজ করায় দেশ অস্থিতিশীলতা থেকে রক্ষা পেয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, বিভিন্ন দল ও গোষ্ঠী এখন ‘দেশবিরোধী ন্যারেটিভ’ তৈরি করে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ পরিস্থিতিতে অতীতে আন্দোলনে অনুপস্থিত থাকা ব্যক্তিরা আজ রাজনৈতিক নৈতিকতার প্রশ্ন তুললে তা ‘অসঙ্গত’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শিশির মনিরের আন্দোলনে অংশগ্রহণ বা দেশের জন্য কোনো অবদান থাকলে তার প্রমাণ দেখাতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। তার দাবি, ‘এমন কোনো প্রমাণ নেই—এটাই বাস্তবতা।’
ইএ/এসএন