বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার 'অনিশ্চয়তা' ও তার জন্য ট্রাভেল পাসের আলোচনার মধ্যেই আজ বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে, তিনি এখনো বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেননি, তবে কমিশন অনুমতি দিলে তার ভোটার হওয়ার সুযোগ আছে।
ওদিকে মি. রহমান দেশে ফিরে আসতে চাইলে একদিনেই তাকে ট্রাভেল পাস দেওয়া সম্ভব হবে বলে রবিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন যে মন্তব্য করেছেন সেটিও নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
কারণ ট্রাভেল পাসের বিষয়ে উপদেষ্টার মন্তব্য এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, মি. রহমান এখনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট পাননি কিংবা নেননি। কারণ সাধারণত পাসপোর্ট না থাকলেই নাগরিকদের দেশে ফেরার জন্য এ ধরনের ট্রাভেল পাস প্রয়োজন হয়।
কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পনের মাস পরে এসে তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য পাসপোর্টের বদলে ট্রাভেল পাসের প্রসঙ্গ আসছে কেন- সেটিও অনেকের মধ্যে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে বিবিসি বাংলার প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, "পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তার সদিচ্ছা প্রকাশ করতে গিয়ে এভাবে বলে থাকতে পারেন। তবে আমরা মনে করি ট্রাভেল পাস বা পাসপোর্ট- কোনো কিছু নিয়েই সমস্যা হবে না। কারণ এক্ষেত্রে সরকারেরও সদিচ্ছা আছে"।
মি. রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্ট পেয়েছেন কি-না কিংবা চেয়েছেন কি-না অথবা পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মি. আহমদ শুধু বলেছেন, "এ বিষয়ে আমার জানা নেই"।
প্রসঙ্গত, শনিবার তারেক রহমান তার দেশে ফেরার বিষয়ে 'সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত ও একক নিয়ন্ত্রণাধীন নয়' বলে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়ার পর তার দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার আলোচনা শুরু হয়।
তখন থেকেই এই প্রশ্ন উঠে যে- কেন দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না এবং এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে। এর পরপরই রোববার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তারেক রহমানের জন্য ট্রাভেল পাসের বিষয়টি সামনে নিয়ে এলেন।
এসএন