দীর্ঘদিন ধরে চলমান দুর্নীতি মামলায় ক্ষমা চেয়ে দেশের প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করার পর প্রথমবারের মতো সোমবার আদালতে হাজির হন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার এই পদক্ষেপের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে বিরোধী রাজনীতিকেরা এই আবেদনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের কেউ কেউ বলেছেন, কোনো ক্ষমা যদি দিতেই হয়, তবে তা নেতানিয়াহুর রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ এবং দোষ স্বীকার করার শর্তে হওয়া উচিত।
অন্যরা বলেছেন, যেকোনো ক্ষমা প্রার্থনার আগে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে, যা অক্টোবর ২০২৬-এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, নেতানিয়াহু যদি ‘ইসরায়েলকে এই বিশৃঙ্খলা থেকে বের করে আনতে’ রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে সম্মত হন, তবে তিনি বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দেওয়ার পক্ষে থাকবেন।
বেনেট বলেন, ‘এইভাবে আমরা বিষয়টি পেছনে ফেলে একজোট হতে পারব এবং একসঙ্গে দেশ পুনর্গঠন করতে পারব।’ ২০২১ সালের নির্বাচনে বেনেটের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় এসে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।
পরবর্তী বছর নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবারও ক্ষমতায় ফেরেন নেতানিয়াহু।
জনমত জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে, যদি নেতানিয়াহু সরে দাঁড়ান, তাহলে পরবর্তী সরকারপ্রধান হওয়ার ক্ষেত্রে বেনেটই সবচেয়ে সম্ভাব্য প্রার্থী।
এমকে/এসএন