রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী এবং তার পরিবারের ৫ সদস্যের অবৈধভাবে অর্জিত ৬৫ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৩ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন বিশেষ জজ আদালত।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে রাজবাড়ী দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট বিজন কুমার বোস এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ফরিদপুর জেলা কার্যালয়ের পক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট বিজন কুমার বোস জানান, দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজবাড়ীর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আনিসুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ফরিদপুরের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে কাজী ইরাদত আলীসহ তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে কাজী ইরাদত আলী, স্ত্রী রাবেয়া পারভীন, ছেলে কাজী রাকিবুল ইসলাম শান্তনু, মেয়ে কাজী সিরাজুম মনিরা ও জামাই মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ৬৫ কোটি ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পায় দুদক। অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের মধ্যে রাজবাড়ী গোল্ডেশিয়া জুট মিল, পেট্রোল পাম্প, রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে।
টিজে/টিকে