১২তম বিপিএল নিলামের আগেই বাদ দেওয়া হয়েছিল এনামুল হক বিজয়কে। ফিক্সিং সন্দেহে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনিসহ আরো বেশ কয়েকজনের ভাগ্যে একই ঘটনা ঘটে। বাদ পড়ার পর বিজয় বিসিবির কাছে আগের আসরের পাওনা দাবি করেছেন।
গতকাল নিজের ফেসবুক লাইভে বিজয় বলেন, ‘আমি যে পারিশ্রমিক পাইনি সে ব্যাপারে আমি বিপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিলসহ যারা দায়িত্বে ছিলেন সবাইকে অবগত করেছি। এমন কিছু না যে নতুন করে বলছি। আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনটি ডকুমেন্ট দেখিয়েছি। একটা ছিল রাজশাহী টিমের সঙ্গে আমার চুক্তি, আরেকটা রাজশাহী টিম যে চেকগুলো দিয়েছিল সেখানে কোনো টাকা নেই। তৃতীয় যেটা ছিল আমি বিসিবিকে মেইল করেছি ১০-১৫ দিন হয়ে গেছে, আমি কোনো উত্তর পাইনি।’
বকেয়া পারিশ্রমিকের দাবি জানিয়ে বিজয় আরও বলেন, ‘লাইভে আসার উদ্দেশ্য এটাই, যারা দেখছেন, মানুষজন সত্যটা জানুক। বিপিএলের প্রধান এখন যিনি দায়িত্বে আছেন উনি বলেছেন আমি ডিরেক্ট সাইনিংয়ের প্লেয়ার। ডিরেক্ট সাইনিংয়ের প্লেয়ারের দায়িত্ব বিসিবি নিতে পারবে না। তো আমার কথা হলো তাহলে আমি কাদের হয়ে খেলেছি, রাজশাহী টিম। তারা কাদের নিয়ে? অবশ্যই তারা বিসিবির। যদি ডিরেক্ট সাইনিংয়ের খেলোয়াড় হওয়ায় আমাকে পেমেন্ট না দেওয়া হয় তাহলে আমার বেস প্রাইস কত ছিল। ৪০ লাখ টাকা, ড্রাফটে বিক্রি হবো, সেই টাকাও তো বিপিএল আমাকে দেয়নি। ১০ লাখ টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার কারণে আমি সরাসরি চুক্তি করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন রাজশাহী টিম পেমেন্ট ইস্যুতে প্র্যাকটিস বয়কট করেছিল। পেমেন্ট জটিলতায় হোটেলে মালিককে আটকে রাখা, বাসের পেমেন্টসহ এমন সমস্যা ছিল। তখন বিসিবি দায়িত্বরতরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখন আমি, ইয়াসির, তাসকিন, আকবর, ফারুক স্যার (তৎকালীন প্রেসিডেন্ট), মঞ্জু ভাই এবং আকরাম ভাই উপস্থিত ছিলেন। অনেক অনিশ্চয়তার পরও আমাদের অনুরোধ করা হয় যেন সঠিকভাবে টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়া হয়। পেমেন্ট নিয়ে ডিরেক্ট সাইন বা ড্রাফটেড প্লেয়ার, যেই হও সবাইকে বিসিবি আশ্বস্ত করে খেলা চালিয়ে নিতে বলেছিল।’
বিপিএলের ম্যাচগুলো খেলার পরই অভিযোগ এসেছে দাবি করে বিজয় বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বিপিএলের মধ্যে (চলাকালীন সময়) হয়েছে বলা হচ্ছে। খেলাটাকে বয়কট করে ফেললে তো কোনো অভিযোগ আসতো না। বিসিবির কথাতে আমরা খেলা চালিয়ে গেলাম, এখন যদি বলেন ডিরেক্ট সাইনিংয়ের টাকা আমরা দেব না তাহলে কেমন হলো। তাহলে কি আমরা ইউজড হলাম? এক বছর পর এখন বলছেন ডিরেক্ট সাইনিংয়ে কিসের টাকা সেটাও আমাকে না বলে মিডিয়ায় বলছেন। এমন হলে আমরা কোথায় যাব।’
তিনি বলে গেলেন, ‘আমি কষ্ট করে খেলা চালিয়ে গেছি। সেঞ্চুরি করেছি, এই দল নিয়ে ফাইট করেছি, পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছি। এরপর আপনারা যদি টাকা না দেন সেটা আমি মানতে পারব না। তাহলে কমিটমেন্ট কোথায় থাকল। কেউ যদি বলেন আমি তখন এই ডিপার্টমেন্টে ছিলাম না, তাহলে এখন যারা মিডিয়া ডিপার্টমেন্টে আসছে তারা তো এসে আমাদের বিচার শুরু করছে। তাহলে তো দুই ভাগ হয়ে গেল। পেমেন্ট নিয়ে কথা বলতে পারবে না, কিন্তু মিডিয়ায় কথা বলতে পারবে। এরকম তো হওয়ার কথা না। আমি তো অবৈধ কিছু চাচ্ছি না, যেটা কমিটমেন্ট ছিল সেটাই চাচ্ছি।’
ইএ/এসএন