পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এককভাবে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোয় ব্যবসায়ীদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আছে কিনা এক প্রশ্নে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, নিয়ন্ত্রণ আছে কী নেই সেটা আমাদের পদক্ষেপের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
ব্যবসায়ীরা শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করে থাকলে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে, কেন নেব না? আইনসঙ্গত আমাদের যে ব্যবস্থাগুলো আছে আমরা সবগুলো নেব।’
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেও, সরকার এ ব্যাপারে কিছুই জানত না। এর আগেও ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ালে সরকার সেটি মেনে নেয়নি, ব্যবস্থা নিয়েছিল। প্রায় আড়াই মাস আগের দামেই বিক্রি হয়েছে।’
তবে দাম বাড়ানোর যৌক্তিক কোনো কারণ থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ আছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রণ আছে কি নেই, সেটা আমাদের পদক্ষেপের মাধ্যমে জানতে পারবেন। নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই আছে।
এদিকে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ব্যবসায়ীরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোয় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে।
দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাজার তদারকি শিথিল হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দ্রুত বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে।
সম্প্রতি কোনো ঘোষণা ছাড়াই ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার লিটারে বেড়েছে ৯ টাকা। নতুন করে বাজারে আসা পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকায়।
আগের দাম ছিল ৯২২ টাকা। এ ছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বোতলজাত প্রতি লিটার এতদিন ১৮৯ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।
এমকে/এসএন