ঢাবির ৬৭ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকা এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬৭ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির জন্য ৬৩ জন এবং অস্ত্র ও মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ৪ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের এক সভায় এ সুপারিশ করা হয় বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী।

প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের আগামী সভায় ওই ৬৭ জনকে বহিষ্কারের সুপারিশ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তোলা হবে।

তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। ওই ৮৭ জনের মধ্যে ১৫ জনকে আগেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিষদের সভায় আরও ৬৩ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। আর বাকি ৯ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রক্টর বলেন, এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুই জনকে ৬ মাসের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ছিনতাই ও মাদক সেবনে জড়িত থাকায় আরও ১৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান জানান, শৃঙ্খলা পরিষদের সুপারিশ সিন্ডিকেটে গ্রহণ করার পর তা কার্যকর হবে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জুলাই কেন্দ্র করে ঢাবিতে দুটি নতুন দিবসের সূচনা Jul 15, 2025
img
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব নিতে আগ্রহী তাইজুল! Jul 15, 2025
img
বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে চায় সৌদি আরব Jul 15, 2025
img
প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা Jul 15, 2025
img
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শিক্ষা বিভাগ বন্ধের অনুমতি পেলেন ট্রাম্প Jul 15, 2025
img
জনসংখ্যার বড় অংশ তরুণ, এটা জাতির জন্য সুবর্ণ সময়: সিরাজ উদ্দিন Jul 15, 2025
img
জাতীয় সনদ তৈরিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত জরুরি: আলী রীয়াজ Jul 15, 2025
img
ইউক্রেনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন জেলেনস্কি Jul 15, 2025
img
মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় উদ্ধার হলেন স্টার জলসার অভিনেত্রী Jul 15, 2025
img
ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রীবাহী নৌকাডুবে নিখোঁজ ১১ জন Jul 15, 2025
img
চলতি বছরের শেষে তিস্তা মহাপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা Jul 15, 2025
img
জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে কে কাকে কার্ড দেখাবে, এটি নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই: এম জাহিদ Jul 15, 2025
img
প্রাথমিকের ৩২ হাজার শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগের নির্দেশ ড. ইউনুসের Jul 15, 2025
img
কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে ৯৬ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া Jul 15, 2025
img
অন্তর্বতী সরকার খুব দ্রুতই নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে : প্রেসসচিব Jul 15, 2025
img
বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক Jul 15, 2025
img
প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নয়নের প্রস্তাব Jul 15, 2025
img
পাকিস্তানে বন্যায় নিহত ১১১ জন, আরও ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস Jul 15, 2025
img
বিপিএলে পরিবর্তনের পথে বিসিবি,তামিম-মুশফিকদের নিয়ে সভা Jul 15, 2025
img
একইদিনে নতুন দুই খেলোয়াড় দলে ভেড়াল বার্সেলোনা-রিয়াল Jul 15, 2025