ক্রিকেট মাঠে ব্যাট ঘুরিয়ে যিনি দলে এনে দেন নিশ্চিন্ততা, সেই স্মৃতি মান্ধানা আজ নিজেই দাঁড়িয়ে আছেন এক অনিশ্চয়তার মোড়ে। বহু প্রতীক্ষিত বিয়ে কি তবে আর হল না? চারদিকে গুঞ্জন, আগাম সপ্তাহেই নাকি বিয়ের মালা গলায় তুলবেন স্মৃতি ও পলাশ। কিন্তু এর মধ্যেই সর্বস্ব ওলটপালট করে দিল হঠাৎ ঘটে যাওয়া অসুস্থতা এবং সম্পর্ক ঘিরে নতুন বিতর্কের ঢেউ।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গত ২৩ নভেম্বরই সম্পন্ন হত স্মৃতি ও পলাশের বিয়ে। কিন্তু বিয়ের দিনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন স্মৃতির বাবা শ্রীনিবাস মন্ধানা। তড়িঘড়ি তাকে সাংলির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিনই অসুস্থ হয়ে পড়েন পলাশও। শুরুতে ভাইরাল সংক্রমণ ধরা পড়লেও পরে জানা যায়, বিয়ের আয়োজন আর বহু কনসার্টের চাপ মিলিয়ে শরীর ভেঙে পড়েছিল তার। সেখান থেকে আবার স্থানান্তর করা হয় মুম্বইয়ে।
চারদিন পর দুজনেই হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেলেন। কিন্তু এরপরও বাতাসে থেকে গেল সন্দেহ আর গুঞ্জনের তীব্রতা। পলাশের নাকি অন্য এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়েই সম্পর্কের প্রথম ভাঙন। গোপন চ্যাট ফাঁস হতেই বিষয়টি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এমন দায় দেয়ার ক্ষণে স্মৃতির দাদা জানিয়ে দিলেন, বিয়ে আপাতত স্থগিত।
এরই মধ্যে বিস্ময় বাড়িয়ে দিল ক্রেয়নজ এন্টারটেনমেন্টের একটি ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা। বিয়ের পুরো আয়োজনের দায়িত্বে থাকা এই সংস্থা লিখল, জীবনের সব ম্যাচে ফিনিশিং লাইন পেরোনো যায় না, কিন্তু খেলোয়াড়ি মানসিকতাই আসল। তাদের টিম নাকি যথেষ্ট ভালো খেলেছে, তাই সম্মান প্রাপ্য। এমন মন্তব্যের পরই নতুন করে জল্পনা তাহলে কি সত্যিই স্মৃতি পলাশের সম্পর্ক আর টিকল না? তাদের ম্যাচ কি ফিনিশিং লাইন দেখলই না?
অন্যদিকে গুঞ্জন থেমে নেই। অনেকে বলছেন, যাবতীয় মনোমালিন্য ভুলে আবারও এক হতে পারেন দুজন। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, সবকিছুর ইঙ্গিতই বলছে সম্পর্ক ভাঙনের কথা। এই দোলাচলে দাঁড়িয়ে জ্বলছে কোটি ক্রিকেটভক্তের কৌতূহল। স্মৃতি কি নিজের জীবনের এই ইনিংসে নতুন শুরু বেছে নেবেন, নাকি এখনও বাকি আছে ম্যাচের শেষ ওভার সেদিকেই তাকিয়ে এখন সমগ্র নেটদুনিয়া।
আরপি/এসএন