ডিসেম্বরের হিমেল রাতে প্রকৃতি যখন শীতের চাদরে নিজেকে মুড়ে নেয়, ঠিক তখনই আকাশে দেখা মিলবে এক অসাধারণ মহাজাগতিক দৃশ্যের। আগামীকাল, ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার আকাশে উঠতে যাচ্ছে বছরের তৃতীয় এবং শেষ সুপারমুন। যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় ‘কোল্ড সুপারমুন’ নামে পরিচিত। এই পূর্ণিমা শুধু ডিসেম্বরের আগমনী বার্তা বয়ে আনে না, বরং এক বিশেষ উজ্জ্বলতা নিয়ে মহাকাশে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমও (বিডব্লিউওটি) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাংলাদেশের সকল স্থান থেকেই দেখা যাবে এই মনোমুগ্ধকর সুপারমুন। এই চাঁদ তার সর্বোচ্চ আলোকোজ্জ্বল অবস্থায় থাকবে ৫ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোর ৫টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত।
বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ আজ, বাংলাদেশ থেকে কি দেখা যাবে?
কেন এটি ‘কোল্ড মুন’?
বিবিসি জানিয়েছে, গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারেরও বহু আগে থেকেই মৌসুম পরিবর্তনের হিসেব রাখার জন্য পূর্ণিমার নানা নামকরণ করা হতো। সেই ঐতিহ্য অনুসারে, ডিসেম্বর মাসের পূর্ণিমাকে বলা হয় ‘কোল্ড মুন’। কারণ এই সময়টি উত্তর গোলার্ধে শীতের সূচনা পর্ব। শীতলতম রাতে চাঁদের এই উপস্থিতি তাকে এই বিশেষ নাম দিয়েছে।
সুপারমুনের রহস্য কী?
যখন চাঁদ পৃথিবীর কক্ষপথে ঘোরার সময় পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে, তখন সেই পূর্ণিমাকে ‘সুপারমুন’ বলা হয়। পৃথিবীর কাছাকাছি আসার কারণেই চাঁদকে অন্য সময়ের তুলনায় একটু বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। আর এটিই হবে এই বছরের তৃতীয় এবং শেষ সুপারমুন।
এই মহাজাগতিক ঘটনাটি বছরের পর বছর ধরে প্রকৃতিপ্রেমী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মুগ্ধ করে আসছে। তবে যারা এই বিরল দৃশ্য দেখতে ভুল করবেন, তাদের জন্য পরবর্তী পূর্ণিমা অপেক্ষা করছে ২০২৬ সালের ৩ জানুয়ারি। বিবিসি ওয়েদারের তথ্য অনুযায়ী, সেটির নাম হবে ‘উলফ মুন’।
এবি/টিকে