ক্ষমতালোভী রাজনৈতিক শক্তির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তাঁর ভাষায়, ‘নতুন শাড়িতে পুরনো বউ উপহার দিয়ে আর মানুষকে প্রতারিত করা যাবে না। ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ।’
গতকাল বুধবার বিকেলে রংপুর নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহে আন্দোলনরত আট সমমনা দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাঁচ দফা দাবি হলো, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন, জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি, জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি।
চরমোনাই পীর তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে কেবল ক্ষমতা বদলের জন্য নয়। তারা জীবন উত্সর্গ করেছে সেই শক্তিকে উত্খাত করতে, যারা বিদেশি প্রভুত্বের কাছে জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল। কিন্তু আজও যদি কেউ মনে করে ওয়ান-টু করে আবার ক্ষমতায় যাবে—তাহলে জানিয়ে দিচ্ছি, সেই দিন আর নেই।
’
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দেশকে ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তাঁর সেই ত্যাগ কোনো চাঁদাবাজ-কালো টাকাওয়ালাদের ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়। ইসলামের পক্ষে ও মানবতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া জনগণ ভোট বাক্স ভরে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির আহমদ আলী কাসেমী, নেজামে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম।
এমআর/টিএ