রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত শুধু একটা প্রশাসনিক পদক্ষেপ নয়। এটা বাংলাদেশের চলমান ট্রানজিশনাল রাজনীতির গভীর সংকট আর সম্ভাবনার প্রতীক। রাষ্ট্রপ্রধান সরকার প্রধানের পর্যায়ে নিরাপত্তা বাহিনী এসএসএফ এখন তার সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। এর অর্থ অন্তর্বর্তী সরকার স্বীকার করছে যে তিনি শুধু একজন অসুস্থ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি এখনো রাষ্ট্রীয় স্থিতি ও ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক সমীকরণের কেন্দ্রীয় চরিত্রদের একজন।’
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে জিল্লুর এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এই স্বীকৃতির ঠিক উল্টো পাশে দাঁড়িয়ে আছে আরেকটি অনিশ্চয়তা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে দৃশ্যমান দ্বিধা ও অদৃশ্য বাধা। তিনি নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, দেশে ফেরা নিয়ে তার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি নিজ হাতে নেই।
অন্য কোনো বাস্তবতা তার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।’
জিল্লুর বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক আশ্রয় সম্ভাব্য আইএলআর বা নাগরিকত্ব। আর সেখানে প্রচলিত আইন সব মিলিয়ে আশ্রয়প্রাপ্ত যে কারো জন্যই নিজ দেশে ফেরা বড় ঝুঁকির বিষয়। আশ্রয়ের পুরো ধারণাটাই দাঁড়িয়ে আছে এই প্রস্তাবের ওপর যে, ওই দেশে তার নিরাপত্তাহীনতা আছে।
সেখানে গিয়ে জনসম্মুখে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করলে আশ্রয়দাতা রাষ্ট্র প্রশ্ন তুলতেই পারে। কিন্তু সত্যি কি সে ঝুঁকি এখনো আছে?’
জিল্লুর আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত বিরোধীদলীয় নেতা এমন এক দ্বৈত বাস্তবতার মধ্যে বন্দি, দেশে ফিরলে আইনি ও নিরাপত্তার ঝুঁকি না ফিরলে রাজনীতির নৈতিক ও নেতৃত্বগত সংকট। একদিকে তিনি অসুস্থ মায়ের শয্যাপাশে থাকতে পারছেন না। অন্যদিকে নিজ দলকে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতির অতি গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচনের আগে মাঠে নামতে পারছেন না।’
পিএ/এসএন