পাটশিল্পের মতো বস্ত্রখাতে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত হবে না বলে জানিয়েছেন, বস্ত্র ও পাট, বাণিজ্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আবেগের বশবর্তী হয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নেব না। আমরা ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি অর্জন করতে চাই। এই লক্ষ্য পূরণে শিল্প, একাডেমিয়া, নীতি সহায়তার সমন্বয় হতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় বস্ত্র দিবস ২০২৫' উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড রিইনভেনশন: ক্রিয়েটিং স্কিল্ড প্রফেশনালস ফর টেক্সটাইল অ্যান্ড এপারেল সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বস্ত্র শিল্প একটি কমোডিটি ইন্ডাস্ট্রি; কাঁচামালের দাম উৎপাদন ব্যয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ। বাকি ২০ শতাংশ থেকেই মুনাফা করতে হয়। এজন্য দক্ষতা জরুরি। দক্ষতা উন্নয়নে ভুল হলে শিল্প পিছিয়ে পড়বে।’
টেক্সটাইল শিক্ষার মান ও শিল্পের চাহিদার ব্যবধান রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘টেক্সটাইল শিক্ষা পুরোপুরি ফাংশনালধর্মী। কিন্তু একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির সংযোগ না হলে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদর্শনে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ে। মধ্যপ্রাচ্যের আছে ক্রুড অয়েল, আর আমাদের আছে ১৮ কোটি মানুষ তা দক্ষতার দিক থেকে আরো রিফাইন করতে হবে। দক্ষতা তৈরি করতে পারলে আমরা সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছাতে পারব।’
বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য রাখেন ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজ বিলকিস জাহান রিমি বলেন, ‘সেমিনারে অংশগ্রহণকারীর উন্মুক্ত আলোচনায় যেসব সমস্যার দিক উপস্থাপন হলো তা পূরণে আমরা আরও বেশি উদ্যোগী হবো। বস্ত্রখাতে দক্ষ ও যুগোপযোগী শ্রমশক্তি তৈরিতে সরকার পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করছে।’
আরপি/টিকে