ছাত্র সংসদ ‘বাকসু’ নামের বৈধতা এবং মালিকানা একমাত্র নিজেদের বলে দাবি করেছেন বরিশাল সরকারি ব্রজমোহান (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএম কলেজ তথা দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্য ‘বাকসু’ নাম রক্ষায় প্রয়োজনে আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কঠোর কর্মসূচিতে যাব।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের বাকসু ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সিন্ডিকেট সভায় ‘বাকসু’ নাম অনুমোদনের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন কাজী সাইফুল বাসার। তিনি বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯২তম সিন্ডিকেট সভায় তাদের ছাত্র সংসদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাকসু’ নাম পাস করা হয়েছে। এটি শুধু অনৈতিক নয়, এটি ঐতিহাসিক সত্য বিকৃতি, অন্য প্রতিষ্ঠানের পরিচয় জবরদখল এবং প্রতিষ্ঠানের শতবর্ষের মর্যাদার প্রতি সুস্পষ্ট অসম্মান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একই অঞ্চলের দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একই নাম ব্যবহার করলে একাডেমিক বিভ্রান্তি, প্রশাসনিক ভুল বোঝাবুঝি, মিডিয়ায় ভুল ব্যাখ্যা এবং ইতিহাসের বিকৃতি নিশ্চিতভাবেই অনিবার্য।
এ দেশের একটি গণমাধ্যম সম্মেলন থেকে ৩টি দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটে অনুমোদিত ‘বাকসু’ নামের সিদ্ধান্ত বাতিল করা; বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের জন্য স্বতন্ত্র, নতুন ও নিজস্ব নাম ঘোষণা করা এবং বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের নাম নিয়ে সব বিভ্রান্তি সৃষ্টি বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিতভাবে অবস্থান জানানো।
অবিলম্বে এসব দাবি না মানলে বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আরপি/টিকে