তথাকথিত বড় দলগুলোর পক্ষে নয়া বন্দোবস্ত সম্ভব নয় : মুরসালীন

তথাকথিত বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে নয়া বন্দোবস্ত সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও নির্বাচনকালীন মিডিয়া উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক খান মুহাম্মদ মুরসালীন। তিনি ঢাকা-৬ আসন থেকে এনসিপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পুরান ঢাকার বাংলাবাজারে পরিচ্ছন্ন ঢাকার দাবিতে গণসংযোগকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় মুরসালীন বলেন, পুরান ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ এবং পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের শিকার এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার ধরন দেখেই বোঝা যাচ্ছে, তথাকথিত বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে নয়া বন্দোবস্ত সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় কোনো নতুনত্ব নেই। শহরের প্রতিটি দেয়াল পোস্টারে ঢেকে গেছে। বিলবোর্ড-ফেস্টুনের চাপে সাধারণ মানুষের ফুটপাতে চলাচল রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

‘যারা সংসদে গিয়ে জনগণের সেবা করবেন প্রচার করছেন, তারাই এখন জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করছেন। এ বিষয়গুলো দেখার এবং ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। কিন্তু তারাও একেবারেই নিশ্চুপ।’

এসময় তিনি প্রচলিত ধারার নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রতিশ্রুতির বদলে জনগণ এখন পলিসি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী বলে উল্লেখ করেন।

মুরসালীন বলেন, পুরান ঢাকা একটি ঘনবসতিপূর্ণ ব্যবসায়ী এলাকা। সরু রাস্তা এবং তীব্র যানজন এখানকার নিত্যদিনের সঙ্গী। পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ তো রয়েছেই। ফলে এই সংকটগুলো সমাধানে এখন জনগণ পলিসি সম্পর্কে জানতে চায়। তারা জানতে চায়, এই ঘিঞ্জি এলাকায় শিশুদের সুস্থ বিকাশে খেলাধুলা, সংস্কৃতিচর্চা ও মেধা বিকাশে সংসদ সদস্যরা কী পলিসি নেবেন। জনগণ জানতে চায়, দুর্যোগে প্রতিটি মহল্লায় তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিভাবে গড়ে তোলা হবে। ব্যবসার প্রসারে কী নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে।

‘এসব প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার মধ্য দিয়ে জনগণের মনে জায়গা করে নিতে হবে। বিলবোর্ড, ব্যানার আর ফেস্টুনে মহল্লা ছেয়ে ফেললেও জনগণের মনে জায়গা পাওয়া যাবে না। পরিবর্তনের নিশ্চয়তা নিজেদের কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে’- যোগ করেন এ মনোনয়নপ্রত্যাশী।

এসময় বাংলাবাজারের প্রেস মালিক ও স্থানীয় পুস্তক ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও তিনি মতবিনিময় করেন এবং ব্যবসার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিতের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

টিজে/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অবশেষে ফুরোচ্ছে তানজিকা আমিনের দীর্ঘ অপেক্ষা Dec 07, 2025
img
নরসিংদীতে স্পিনিং মিলের তুলার গোডাউনে ভয়াবহ আগুন Dec 07, 2025
হাসিনাকে নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান ভারতের সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে: জয়শঙ্কর Dec 07, 2025
ভিভিআইপি ফ্লাইট CL-604 পেলো ঢাকায় নামার অনুমতি Dec 07, 2025
ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধ্বসে ইন্দোনেশিয়া-শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডে প্রানহানি প্রায় ১৮০০ Dec 07, 2025
পোষ্য কোটা ইস্যুতে যা বললেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা Dec 07, 2025
জাকসুর বাজেট বিতর্ক: বরাদ্দ আর প্রাপ্তিতে বড় ফারাক Dec 07, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Dec 07, 2025
img
নির্বাচনের তফসিল নিয়ে সভা আজ Dec 07, 2025
ফেনীতে এনসিপি কমিটি ঘোষণায় বিরোধ Dec 07, 2025
যশরাজ স্টুডিওতে অঝোরে কাঁদছিলেন ক্যাটরিনা Dec 07, 2025
শাহরুখ খানের শো এড়ানোর নেপথ্য কারণ ফাঁস Dec 07, 2025
img
আজ আংশিক মেঘলা আকাশসহ শুষ্ক থাকতে পারে আবহাওয়া Dec 07, 2025
img
মেসির মায়ামির ঐতিহাসিক রাত, শিরোপা হাতে বিদায় বুস্কেটসের Dec 07, 2025
img
রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ইজিবাইক চালকের প্রাণহানি Dec 07, 2025
img
লেবাননে জাতিসংঘ টহল দলের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ Dec 07, 2025
img
খালেদা জিয়া নীতির প্রশ্নে আপস করেননি : খোকন Dec 07, 2025
img
স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করলেন চিকিৎসক Dec 07, 2025
img
তথাকথিত বড় দলগুলোর পক্ষে নয়া বন্দোবস্ত সম্ভব নয় : মুরসালীন Dec 07, 2025
img
২ বার এগিয়ে গিয়েও নাটকীয় ড্রয়ে থামল লিভারপুল Dec 07, 2025