‘মাইনাস টু বা মাইনাস ফোর’ কার্যকর করার সক্ষমতা কারোরই নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, ‘মাইনাস টু’ যেখান থেকে শুরু হয়েছে এবং যেটাকে এখন একেবারে মাইনাস ফোর পর্যন্ত নিয়ে গেছে, এটাকে একটা ফেইল প্রজেক্ট হিসেবে দেখি। এটা পলিটিক্যাল পার্টিগুলোকে আরো অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে। রাজনীতিবিদদের রেলিভেন্সকে আরো অনেক বেশি সামনে নিয়ে এসেছে।
দুই দলের নেতাকর্মী-ভোটার-সমর্থকদের দুই দলের সঙ্গে আরো অনেক বেশি যুক্ত করেছে। আমি মনে করি, ‘মাইনাস ফোর’ এর চিন্তা যদি কারো থেকেও থাকে, এটা তারা কার্যকর করতে পারবে।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শোতে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বিএনপির পলিটিক্যাল হিস্ট্রিতে ওয়ান-ইলেভেনের একটা বিরাট ছাপ রয়ে গেছে। এক/এগারোর সময় আমাদের দুটো বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান সারির নেতাদের মাইনাস করার একটি চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু মাইনাস করা তো দূরেই থাক, পরবর্তী সময় আওয়ামী লীগ বিপুল বিক্রমে ১৫ বছর বিনা ভোটে বাংলাদেশকে রুল করতে পেরেছে। অন্যদিকে বিএনপির ভেঙে যাবে। বিএনপি এত দীর্ঘ সময় বিরোধী দলে কী করে থাকবে এমন নানা রকম জল্পনা-কল্পনা থাকলেও বিএনপি দ্বিগুণ শক্তিতে ১৫ বছরে পলিটিক্যাল রেলিভেন্সকে আবার প্রমাণ করেছে।
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজেই নানা অনিয়ম অত্যাচার দুর্নীতি-দুঃশাসন-কারচুপি করে দেশের মানুষকে নাজেহাল করায় দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। তার সেকেন্ড জেনারেশন কে করবে, মানে তার পরে তার পরিবারের কেউ আসবে কি না, এলে সেটা কে আসবে? সেটা কখনোই স্পষ্ট করা হয়নি। যদি ধরি দুজন আওয়ামী লীগ ও দুজন বিএনপি। তাহলে আওয়ামী লীগের নাম্বার টু টা কে? এটা আমরা জানি না। কখনো শুনি জয়, কখনো শুনি পুতুল, কখনো শুনি ববি, একেক সময় আমরা একেকটা নাম শুনি।
কিন্তু কারোর ব্যাপারে খুব স্ট্রং কোনো এভিডেন্স বা স্ট্রং কোনো তথ্য থাকে না যে, হি ইজ দা সেকেন্ড ম্যান আফটার শেখ হাসিনা।’ তিনি আরো বলেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ। তিনি হাসপাতালে আছেন। কিন্তু তিনি এখনো আছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ওনার ব্যাপারে কিন্তু স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে নির্বাচনের আগেই উনি বাংলাদেশে আসবেন। তিনি নিজেও বিবিসির সাক্ষাৎকারে বলেছেন ‘আমি যেহেতু নির্বাচন করতে চাই। আমি যেহেতু বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম পলিটিক্যাল পার্টি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমি যত দ্রুত সম্ভব দেশে চলে যাব।’ সুতরাং আমার মনে হয় না মাইনাস টু বা মাইনাস ফোর যেটাই হোক, সেটা কার্যকর করার কোনো সক্ষমতা কারো আছে।”
এসএস/টিকে