বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সুখবর। সবকিছু অনুকূলে থাকলে আগামী জানুয়ারিতে ঢাকায় আসতে পারে ফিফা বিশ্বকাপের বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বর্ণালী ট্রফি। তবে এই সফর চূড়ান্তভাবে নির্ভর করছে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি এক দিনের সফরে বাংলাদেশে আসার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্বকাপ ট্রফির। সফরসূচি এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে না পৌঁছালেও ফিফা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে বিষয়টি মৌখিক ও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনের জন এফ কেনেডি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের ড্র দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বিশ্বকাপের যাত্রা। সেই ধারাবাহিকতায় ট্রফি ট্যুরের অংশ হিসেবেই বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা ফিফার।
বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম জানিয়েছেন, এবারের ট্রফি সফরে দর্শক অংশগ্রহণ বাড়ানোর দিকেই গুরুত্ব দিতে চায় আয়োজক সংস্থা। তিনি বলেন, “ফিফা আমাদের নিশ্চিত করেছে যে ট্রফি সফরের পরিকল্পনা রয়েছে। তারা তাদের চূড়ান্ত রূপরেখা আমাদের কাছে উপস্থাপন করবে। সেখানে আমাদের কোনো প্রস্তাব থাকলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।”
২০২৬ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা ও ম্যাচ বাড়ায় দর্শক চাহিদাও বেড়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশ যেন আগের চেয়ে বেশি টিকিট পেতে পারে, সে অনুরোধও ফিফার কাছে জানানো হয়েছে বলে জানান বাফুফে সহ-সভাপতি।
বিশ্বকাপের বছরেও থেমে থাকবে না দেশের ফুটবলের কার্যক্রম। আগামী বছরে অন্তত পাঁচজন প্রবাসী ফুটবলারকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে বাফুফে। এর মধ্যে আলোচিত সুলিভান ব্রাদার্স রয়েছেন তালিকায়।
তবে ইংলিশ ক্লাব ফুলহ্যামের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ফারহান আলী ওয়াহিদকে নিয়ে এখনই আশার কথা শোনানো যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ফাহাদ করিম বলেন, “আমরা পরিবারটির সঙ্গে আগেই যোগাযোগ করেছিলাম। তারা তখন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে না। তাই আমরা অপেক্ষা করছি।”
একইসঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লাতিন বাংলা সুপার কাপের আয়োজন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাফুফে। টুর্নামেন্টে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠায় ভবিষ্যতে এমন আয়োজনের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে ফেডারেশন।
আইকে/এসএন