অনুসন্ধানী গণমাধ্যম ‘দ্য ডিসেন্ট’ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আসামির পরিচয় প্রকাশ করায় নানা ষড়যন্ত্র ও দায় চাপিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে দেখা যাচ্ছে-যেকোনো ঘটনার দায় রাজনৈতিক প্রতিযোগীর ওপর চাপিয়ে সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তিনি বিশেষভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন সাংবাদিক ও একজন রাজনীতিককে লক্ষ্য করে মব করার চেষ্টার ঘটনার কথা উল্লেখ করেন।
রাশেদ খান বলেন, ‘একজন সাংবাদিককে ওসমান হাদি ভাইয়ের খুনি আখ্যা দিয়ে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছে-এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। একইভাবে ঢাকা-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে ধেয়ে গিয়ে অপদস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা না থাকলে বা তাদের উপস্থিতি অল্প হলে মির্জা আব্বাসও সাংবাদিকের মতো পরিস্থিতির শিকার হতেন কি না-সে বিষয়ে নিশ্চয়তা নেই।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনে করেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর পারস্পরিক দায় চাপানোর সুযোগে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা আরও বেড়েছে। ‘বিভাজনের সুযোগ তারা ভালোভাবেই নিচ্ছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, তাদের অরাজকতা তত বাড়বে,’-লেখেন তিনি।
স্ট্যাটাসে তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ফ্যাসিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। একই সঙ্গে আগামীর নির্বাচনকে ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত নির্বাচন’ হিসেবে নিশ্চিত করার ওপর ঐকমত্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান রাশেদ খান।
টিজ/টিএ