ভারত-পাকিস্তান আবারও শিরোনামে উঠে এলো ‘হ্যান্ডশেক বিতর্ক’। আইসিসি একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এসিসি মেনস অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ২০২৫-এর ম্যাচে টসের সময় পাকিস্তান অধিনায়ক ফারহান ইউসুফের সঙ্গে প্রথাগত করমর্দন করেননি ভারত অধিনায়ক আয়ুষ মাহাত্রে।
বৃষ্টির কারণে প্রায় ৪৫ মিনিট বিলম্বের পর টসের জন্য মাঠের মাঝখানে আসেন দুই অধিনায়ক। তারা পাশাপাশি দাঁড়ালেও একে অপরের সঙ্গে কোনো ধরনের সৌজন্য বিনিময় বা করমর্দন দেখা যায়নি।
টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক ফারহান ইউসুফ। তিনি মাইক্রোফোনটি ভারতের অধিনায়ক আয়ুষের হাতে তুলে দিলেও, দুই অধিনায়কের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী হ্যান্ডশেকটি আর হয়নি।
এর আগে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এসিসি মেনস টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ ২০২৫–এ একই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তানের সিনিয়র দল তিনবার মুখোমুখি হয় এবং প্রতিবারই টসের পর ও ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের মধ্যে হ্যান্ডশেক এড়িয়ে যেতে দেখা যায়।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব করমর্দন থেকে বিরত থাকেন। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর সুপার ফোরের ম্যাচেও একই আচরণ করেন তিনি।
অন্যদিকে, পাকিস্তান দল মাঠেই দাঁড়িয়ে ছিল প্রথাগত পোস্ট-ম্যাচ হ্যান্ডশেকের অপেক্ষায়। এই বিতর্ক শুধু পুরুষ ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ থাকেনি।
সম্প্রতি কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আইসিসি নারী বিশ্বকাপ ২০২৫-এও একই ধরনের ঘটনা দেখা যায়। টসের সময় ভারত অধিনায়ক হারমনপ্রীত কৌর ও পাকিস্তান অধিনায়ক ফাতিমা সানার মধ্যে করমর্দন হয়নি। ম্যাচে জয়ের পর ভারতীয় নারী দল নিজেদের মধ্যে উদযাপন করে সরাসরি ড্রেসিংরুমে ফিরে যায়, পাকিস্তান দলের সঙ্গে প্রথাগত হ্যান্ডশেক না করেই।
এমআর/টিকে