অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-০তে পিছিয়ে বেশ চাপে আছে ইংল্যান্ড। তৃতীয় টেস্টের আগে ব্রিসবেন ও অ্যাডিলেড বিমানবন্দরে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ইংল্যান্ড দলের নিরাপত্তাকর্মীরা একাধিক বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় জড়িয়েছে। ইংলিশদের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ঘটে যাওয়া সেসব পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বলেছেন ‘এটি আদর্শ ছিল না’। জানিয়েছেন, অ্যাশেজ সিরিজ ঘিরে তীব্র নজরদারির মধ্যেও তার দল পরিস্থিতি ভালোভাবে সামলেছে।
শনিবার ব্রিসবেন বিমানবন্দরে ইংল্যান্ড দলের একজন নিরাপত্তাকর্মীর সাথে অস্ট্রেলিয়ার এক গণমাধ্যম ক্যামেরাম্যানের ধাক্কাধাক্কি হয়। নিরাপত্তাকর্মীরা দলের ভিডিও ধারণ করতে বাধা দিতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সংঘর্ষে জড়ান, একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী তাকে ধাক্কা দেন।
এর আগে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস শনিবার অ্যাডিলেডে এক সাংবাদিকের উপর বিরক্তি প্রকাশ করেন। সেই সাংবাদিক নির্দেশনা সীমানা এড়িয়ে খুব কাছে থেকে স্টোকসের বিষয়াদি রেকর্ড করছিলেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) মিডিয়া নির্দেশনায় আছে, যাতায়াতের সময় দলগুলোর থেকে সাক্ষাৎকার নেয়া উপযুক্ত নয়। তবে সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রেখে তাদের ছবি বা ভিডিও ধারণ করা যেতে পারে।
রোববার ম্যাককালাম বলেছেন, ‘আমি বিমানবন্দরের ঘটনাটি দেখিনি, তবে স্পষ্টতই এটি আদর্শ ছিল না। আশা করি বিষয়টি মিটে গেছে এবং সবাই সামনে এগোতে পারবে।’ ‘অস্ট্রেলিয়ায় এলে যে প্রচুর নজরদারি থাকে, প্রবল চাপ ও সমালোচনা থাকে তা আমরা জানি। আমরা যা করি, সবকিছুর দিকেই চোখ থাকে। আমার মনে হয়, এই সফরে আমরা নিজেদের বেশ ভালোভাবে সামলেছি। ছেলেরা দুর্দান্ত ছিল।’
‘গত একসপ্তাহে তারা স্থানীয় অনেক মানুষের সঙ্গে মিশেছে, সবাই ভালো মেজাজে ছিল। দুপক্ষ থেকেই ভালো রসিকতা হয়েছে এবং সবাই বিষয়টা সম্মানের সঙ্গে নিয়েছে।’ ম্যাককালাম নুসায় যাওয়ার সিদ্ধান্তকেও সমর্থন করেছেন। পার্থ ও অ্যাডিলেড টেস্টের মাঝের দীর্ঘ বিরতির কথা মাথায় রেখে এই সফর অনেক আগে ঠিক করা হয়েছিল।
‘এটা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়। গত কয়েক সপ্তাহে আমরা যা শিখেছি, সেগুলোকে স্থির হতে দেয়ার এবং নিজেদের একটু নতুন করে সাজানোর সুযোগ ছিল। আমার মনে হয়, এখন যে সতেজতা নিয়ে আমরা এই টেস্টে নামছি, তা কাজে লাগবে।’
এদিকে ক্যামেরন গ্রিন বলেছেন, ‘সফরকারী দলটির জন্য তার খারাপ লেগেছে। খেলোয়াড়দের উপর থাকা অতিরিক্ত নজরদারির সঙ্গে মানিয়ে নেয়া কঠিন ছিল।’ ‘সবসময় ক্যামেরায় বন্দি হওয়া কেউ পছন্দ করে না। বিশেষ করে যখন একটু দূরে সরে থাকতে চান। প্রকাশ্যে বা ব্যক্তিগত জায়গায় কাউকে ক্যামেরাবন্দি করা হলে তার প্রতি সহানুভূতি থাকেই। এটা কখনোই ভালো অনুভূতি নয়।’
এসএস/এসএন