বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যুক্তরাজ্য অধ্যায়ের সমাপ্তি উপলক্ষে লন্ডনে আয়োজন করা হয়েছে বিদায় সংবর্ধনা ও জনসভা। আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে পূর্ব লন্ডনের সিটি প্যাভিলিয়ন হলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজন করছে যুক্তরাজ্য বিএনপি।
দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর দেশে ফেরার আগে এটিই হবে প্রবাসী বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তারেক রহমানের শেষ বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিজয় দিবসের তাৎপর্য ও দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিতে পারেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পোস্টে তিনি জানান, বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার পাশাপাশি তারেক রহমানকে বিদায় জানাতে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে।অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি ইউরোপের একাধিক দেশ থেকেও বিএনপি নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বিজয় দিবসের এই কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতি থাকবে।
তারেক রহমান ২০০৭ সালে এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হন এবং প্রায় ১৮ মাস কারাবন্দী থাকেন। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মুক্তি পাওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান তিনি।
এরপর থেকে দীর্ঘ সময় তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। এই সময়কালে দেশের বাইরে থেকেও তিনি বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিএনপির ভেতরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নেতাকর্মীরা এটিকে দলের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, লন্ডনের এই বিদায় সংবর্ধনা ও জনসভা শুধু আনুষ্ঠানিক আয়োজন নয়; বরং তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রবাস-জীবনের ইতি টানার পাশাপাশি দেশের রাজনীতিতে তার সক্রিয় প্রত্যাবর্তনের একটি প্রতীকী বার্তা বহন করবে।
এমআর/টিকে