সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘তেরে ইশক মে’ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। ছবির সম্পর্ক ও চরিত্রগুলোকে ‘বিষাক্ত’ আখ্যা দিয়ে অনেকেই সমালোচনা করছেন। সেই বিতর্কের মাঝেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। তাঁর মতে, এমন বিচার অনেকটাই ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল এবং গল্পের গভীরে না ঢুকে শুধু তকমা লাগিয়ে দেওয়াটা ঠিক নয়।
ধনুশের বিপরীতে অভিনীত এবং আনন্দ এল রাই পরিচালিত এই আবেগঘন ছবিটি ভাঙাচোরা ভালোবাসা, মানসিক আঘাত ও নৈতিক দ্বন্দ্বের গল্প বলছে। এক সাক্ষাৎকারে কৃতি বলেন, বর্তমানে ‘বিষাক্ত চরিত্র’ বা ‘সতর্ক সংকেত’ এই শব্দগুলো খুব সহজেই ব্যবহার করা হচ্ছে। আলোচনা ও বিতর্ক ভালো, কিন্তু ত্রুটিপূর্ণ মানেই যে কোনও চরিত্র খারাপ মানুষ হয়ে যায়, তা নয়। অনেক সময় এগুলো মানুষের ভুল, অপরাধবোধ আর গভীর আবেগের প্রতিফলন।
ছবিতে মুক্তি নামের যে চরিত্রে কৃতিকে দেখা যাচ্ছে, তাকে নিষ্ঠুরতার প্রতীক হিসেবে দেখার বিরোধিতা করেছেন অভিনেত্রী। তাঁর ভাষায়, মুক্তি কোনওভাবেই নিষ্ঠুর নয়। সে সহমর্মিতা, অপরাধবোধ এবং মানসিক ভাঙনের মধ্য দিয়ে চলেছে। নিজের সন্তানকে ত্যাগ করা এবং একটি মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ার পর সে নিজস্ব জগতে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। এই ধ্বংসের ভেতর দিয়েই চরিত্রটির যাত্রা।
কৃতি মনে করেন, মুক্তির গল্প আসলে একজন মানুষের ভেতরের ক্ষয়, অনুশোচনা আর মানসিক বিপর্যয়ের গল্প। সেই জটিল আবেগকে না বুঝে শুধুমাত্র কিছু শব্দ দিয়ে চরিত্রটিকে বিচার করলে গল্পের আসল স্তরগুলো হারিয়ে যায়। দর্শকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, সম্পর্কের গল্পে সাদা-কালোর বাইরে গিয়েও তাকানো জরুরি।
‘তেরে ইশক মে’ নিয়ে দর্শকমহলে মতভেদ থাকলেও, কৃতির এই বক্তব্য নতুন করে আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছে। সম্পর্ক, ভুল আর আবেগের জটিল ভাষা বুঝতে হলে শুধু তকমার বাইরে গিয়ে গল্পকে দেখার প্রয়োজন এই কথাই যেন মনে করিয়ে দিলেন তিনি।
এমকে/এসএন