বিএনপি ক্ষমতায় এলে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া যোদ্ধাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দলটি নেবে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি জানান, জুলাই যোদ্ধাদের অনেকের মধ্যেই আশঙ্কা রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের পর নতুন সরকার এলে তাদের নিরাপত্তা কী হবে। এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় এলে সেই দায়িত্ব দলই নেবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে দেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ও উদার পথে এগোবে, নাকি আবারও পশ্চাৎমুখী হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপিকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে এবং সহিংসতার আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।
বিজয় দিবসের প্রেক্ষাপটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা এ দেশের মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার ও গণহত্যা চালিয়েছিল, যা জাতি কখনো ভুলতে পারে না। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে যে বিজয় অর্জিত হয়, তা আমাদের দৃঢ়ভাবে স্মরণে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর বিজয়ে পরিণত হয়। এই বিজয় আমাদের অস্তিত্ব, ভূখণ্ড ও জাতিসত্তার বিজয়।
বাংলাদেশের উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও বিভিন্ন অর্জনের সঙ্গে শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির অবদান অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তরুণদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রূপরেখা নতুন বাংলাদেশের পথনির্দেশনা দিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি দীর্ঘ ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির ত্যাগের কথা স্মরণ করেন।
বক্তব্যের শেষাংশে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনা করেন, শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং মহান বিজয় দিবসকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকারে রূপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
আরপি/টিকে