ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএলটি-২০) রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে এমআই এমিরেটসের কাছে ৭ রানে হেরেছে দুবাই ক্যাপিটালস। ম্যাচে বল হাতে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান এক ওভারে ৩ উইকেট শিকার করে দাপট দেখালেও, রশিদ খানদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে হারতে হয়েছে তার দলকে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে এমআই এমিরেটসকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দুবাই ক্যাপিটালস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে ১১ রান দিলেও ১৬তম ওভারে ফিরে মাত্র ৭ রান খরচ করেন মুস্তাফিজ। তবে আসল চমক দেখান ১৮তম ওভারে। সেই ওভারে বোলিং তোপে লণ্ডভণ্ড করে দেন এমআই-এর লোয়ার অর্ডার।
ওভারের প্রথম বলেই রশিদ খানকে সাজঘরে ফেরান ফিজ। এক বল বিরতি দিয়ে তুলে নেন টম ব্যান্টনের উইকেট। এরপর পঞ্চম বলে এএম ঘাজানফারকে আউট করে এক ওভারেই ৩ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। যদিও শেষ ওভারে ১৬ রান দিয়ে কিছুটা খরুচে ছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বাংলাদেশি এই পেসার। জনি বেয়ারেস্টোর ৪০ বলে ৬৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস আর রোমারিও শেফার্ডের ক্যামিওতে ১৩৭ রানের পুঁজি পায় এমআই এমিরেটস।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মন্দ ছিল না দুবাই ক্যাপিটালসের। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩২ রান। এরপর শায়ান জাহাঙ্গীর ও জর্ডান কক্সের জুটিও স্বপ্ন দেখাচ্ছিল দলকে। কিন্তু ৩৪ রান করা শায়ানকে ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন রশিদ খান। এরপর অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েলকেও নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন এই আফগান স্পিনার।
অধিনায়ক দাসুন শানাকা কিংবা জেমস নিশামদের ব্যর্থতায় ইনিংসের মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেলে দুবাই। একপ্রান্ত আগলে রাখা জর্ডান কক্স ৪৬ রান করে ফিরলে জয় কঠিন হয়ে পড়ে। শেষ ওভারে ১৬ রানের সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ হয় দুবাই ক্যাপিটালস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রানেই থেমে যায় তাদের ইনিংস। ফলে ৭ রানের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এমআই এমিরেটস।
এমআর/টিএ