যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনেজুয়েলার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে মূল্যবান ধাতুর চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্ববাজারে স্বর্ণ ও রুপার দাম আরও বেড়েছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১০ মিনিটে স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৩৩২ দশমিক ২১ ডলারে পৌঁছায়। এর আগে দিনের শুরুতে দাম ১ শতাংশের বেশি বেড়েছিল।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের গোল্ড ফিউচারসের দামও ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৪ হাজার ৩৬৪ ডলার হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে বুধবার স্বর্ণের দামের চেয়ে বিশ্ববাজারে বেশি আলোড়ন তুলেছে রুপার দাম। এদিন রুপার প্রতি আউন্স ৬৬ ডলার ছাড়িয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
স্পট মার্কেটে রুপার দাম প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্স ৬৬ দশমিক ৩ ডলারে দাঁড়ায়। এর আগে লেনদেনের এক পর্যায়ে রুপা সর্বকালের সর্বোচ্চ ৬৬ দশমিক ৫১ ডলারে পৌঁছায়।
মারেক্সের বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মেয়ার বলেন, ‘রুপা সোনাকেও ওপরে টেনে নিচ্ছে। সোনা থেকে কিছু বিনিয়োগ সরে গিয়ে রুপা, প্লাটিনাম ও প্যালাডিয়ামে প্রবাহিত হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদে রুপার পরবর্তী যৌক্তিক লক্ষ্য হতে পারে প্রতি আউন্স ৭০ ডলার।’ চলতি বছরে এখন পর্যন্ত রুপার দাম বেড়েছে প্রায় ১২৬ শতাংশ, যা সোনার তুলনায় অনেক বেশি।
এদিকে দেশের বাজারে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা এবং ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি দুই লাখ ৭ হাজার ২১১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি এক লাখ ৭৭ হাজার ৬৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়ছে এক লাখ ৪৭ হাজার ৯০০ টাকা।
এর আগে সবশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। ভরিতে ৩ হাজার ৪৫২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।
সবমিলিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ৮৬ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করল বাজুস। যেখানে ৫৮ বারই দাম বাড়ানো হয়েছে, আর দাম কমেছে মাত্র ২৭ বার। অন্যদিকে গত বছর দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল। এছাড়া গত বছরে ২৭ বার কমানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম।
সূত্র: রয়টার্স
এমআর