বিলাসিতা বা আভিজাত্য আমাকে কখনোই খুব একটা টানেনি: ঈশিতা

মাত্র ৬ বছর বয়সে প্রথম ক্যামেরার সামনে আসা। এরপর দেশের শোবিজে ৩৯ বছরের পথ চলা তার। বলছি দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী রুমানা রশীদ ঈশিতার কথা। 

১৯৮৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আল মনসুরের একটি নৃত্যনাট্যে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই হিসেবে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) ক্যামেরার সামনে তার ৩৯ বছর পূর্ণ হয়েছে ঈশিতার। তবে বরাবরই সাদামাটা জীবন-যাপন করতেই দেখা গেছে তাকে। যা তারকা থেকে দর্শক- সবার কাছেই প্রশংসনীয়। 

ব্যক্তিজীবনেও ঈশিতা দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী এসিআই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলার সহধর্মিণী তিনি। অথচ এত প্রতিপত্তি আর গ্ল্যামারের মাঝে থেকেও রুমানা রশীদ ঈশিতা বরাবরই নিজেকে সাধারণ।

কিন্তু কেন? কেন আভিজাত্যের চাকচিক্য তাকে টানে না? সম্প্রতি একটি পডকাস্টে নিজের এই সাদামাটা জীবনযাপন ও দর্শনের পেছনের কারণ জানিয়েছেন তিনি।

ঈশিতা জানান, বিলাসিতা বা আভিজাত্য তাকে কখনোই খুব একটা টানেনি। এমনকি মাত্র আট বছর বয়সে তারকাখ্যাতি পাওয়ার পরও তিনি সেটিকে মাথায় চড়তে দেননি।



জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে নিজের গভীর উপলব্ধির কথা তুলে ধরে ঈশিতা বলেন, মানুষের মেধা কিংবা বড় বড় অর্জন যে কোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে। ধরুন একজন অভিজ্ঞ ব্রেইন সার্জন যার ৪০ বছরের সাফল্য আছে, তিনি নিজেও অসুস্থ হয়ে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে তিন বছরের শিশুর মতো হয়ে যেতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, মেধারই যদি এমন অনিশ্চয়তা থাকে, তবে ধন-সম্পদ নিয়ে আসলে আমার মনে হয় এত স্বস্তিবোধ করার বা উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই।

সবকিছু হারিয়ে যাওয়ার ভয় বা অনিশ্চয়তাকে জীবনের ধ্রুব সত্য মনে করেন এই অভিনেত্রী। তার মতে, কবে কী হবে তা একমাত্র ওপরওয়ালাই জানেন। তাই প্রাচুর্য নিয়ে খুব বেশি স্বস্তিবোধ করার কোনো মানে হয় না।

নিজেকে ‘অতি সাধারণ’ মানুষ উল্লেখ করে তিনি অকপটে স্বীকার করেন, আমার অবশ্যই ভুল আছে। কারণ আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বিতর্কহীন থাকা এবং আভিজাত্যের মোহে পা না দেওয়া ঈশিতা তার এই বিনয় ও জীবনবোধের কারণে আজও ভক্তদের কাছে এক অনন্য অনুপ্রেরণার নাম।

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কিছুক্ষণের মধ‍্যে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা Dec 18, 2025
img
ভোটের রায়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করতে হবে: নিপুণ রায় Dec 18, 2025
img
হাদির মৃত্যুতে জামায়াতের শোক Dec 18, 2025
img
বিদায় বন্ধু শহীদ হাদি: পিনাকীর ফেসবুক পোস্ট Dec 18, 2025
img
ওসমান হাদির মৃত্যুতে এনসিপির শোক প্রকাশ Dec 18, 2025
img
হাদি না থেকেও বেশি করে থাকবেন বাংলাদেশের বুকে: ফারুকী Dec 18, 2025
img
ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিএনপির শোক প্রকাশ Dec 18, 2025
img
প্রথম ‘মিস ইন্ডিয়া’ বিজয়ী আর নেই Dec 18, 2025
img
ওসমান হাদি আর নেই Dec 18, 2025
img
ভারতের অখণ্ডতা ও ওসমান হাদি ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামীর বিবৃতি Dec 18, 2025
img
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাতেই পদত্যাগ না করলে যমুনার সামনে অবস্থান নেওয়ার হুঁশিয়ারি জাতীয় ছাত্রশক্তির Dec 18, 2025
img
মেসির স্বপ্ন পূরণের মাঠেই ফাইনালিসিমা Dec 18, 2025
img
‘আগামী ৫৫ বছরেও যেন এ রকম কোনো ঐতিহাসিক ঘটনা না হয়, সে জন্যই সব আয়োজন’ Dec 18, 2025
img
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের মামলার শুনানি ১২ জানুয়ারি Dec 18, 2025
img
হামজা চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে ইচ্ছাপূরণ হলো লোলার Dec 18, 2025
img
পরিবারের সদস্যসহ ৬ জনকে নিয়ে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান Dec 18, 2025
img
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও চাপা পোশাক পরতে বলা হতো: রাধিকা আপ্তে Dec 18, 2025
img
বিএনপি ও জামায়াতের নেতারাও আমার জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াবে : হাসনাত আবদুল্লাহ Dec 18, 2025
img
‘জোর করে চুম্বনের চেষ্টা’, বাবার বয়সি পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ মালতীর Dec 18, 2025
img
‘ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার’ Dec 18, 2025