ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তাদের ভারত থেকে ফেরত এনে শাহবাগে প্রকাশ্য ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন আলোচিত বই বিক্রেতা টিপু সুলতান।
আজ (শুক্রবার) দুপুরে শাহবাগে বিক্ষোভ সমাবেশে এসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবির কথা জানান।
টিপু সুলতান বলেন, আমাদের বীর সন্তান ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচার করতেই হবে। বিচার করতে না পারলে জাতি হিসেবে আমরা ব্যর্থ হবো। ভারত থেকে ফেরত এনে হত্যাকারীদের শাহবাগে প্রকাশ্য ফাঁসি দিতে হবে। যেন আর কোনো বিপ্লবীকে কেউ হত্যার সাহস না দেখাতে পারে।
ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে গতরাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভের পর আজ (শুক্রবার) সকাল থেকেও শাহবাগে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ চলছে। মিছিল স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ। ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না,’ ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়ে যাবো’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষুদ্ধরা।
শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকা। দেশের বিভিন্ন জেলাতেও শুরু হয় বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভ থেকে আগুন দেওয়া হয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে। হামলার কারণে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুক্রবার প্রকাশ হয়নি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা।
ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোকও ঘোষণা করেছে অন্তর্বতী সরকার।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন ঢাকা-৮ আসনের স্বত্রন্ত্র প্রার্থী এবং রাজনৈতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চে’র মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হসপিটালে (এসজিএইচ) নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা যান তিনি।
আজ সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে এসে পৌঁছাবে তার মরদেহ। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে শুক্রবার সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে শহিদ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করা হবে। ফ্লাইটটি সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
কেএন/এসএন