আসছে সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-২ আসনে নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং ঢাকা-১৭ আসনে বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থকে আসনে ছাড় দেওয়ার আভাস দিয়েছে বিএনপি।
এরই মধ্যে তিনজনকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি নেতাদের ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে আলোচনার পর চূড়ান্ত করা হবে।
যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক ‘ওয়ান টু ওয়ান’ বৈঠক করেছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলো হলো জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, গণফোরাম এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি।
বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে শরিকদের ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে। শরিকদের সঙ্গে যেসব আসনে বিএনপির সমঝোতা হবে, সেসব আসনে ধানের শীষের দলীয় প্রার্থী তুলে নেওয়া হবে। এ ছাড়া যাদের এবার মনোনয়ন দেওয়া যাচ্ছে না, তাদের সংসদের উচ্চকক্ষে ও জাতীয় সরকারে মূল্যায়ন করবে বিএনপি।
গতকালের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন। প্রতি বৈঠক আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে। এর আগে গত বুধবার ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। সেখানে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটকে একটি করে আসনে ছাড়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপিসহ আরও দু-একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সব দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে বসবে বিএনপি।
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের দলের চাহিদা ছিল ১০টি আসন। তবে বিএনপি দু-একটি আসনে সমর্থন দিতে পারে। বৈঠকে ঢাকা-৮ আসনের বদলে ঢাকা-১২ আসন ছাড় দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, খোলামেলা ও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমাদের বিকল্প প্রস্তাবটি ইতিবাচকভাবে নিয়েছে বিএনপি। এর বাইরে আরও চার-পাঁচটি আসন নিয়ে আলোচনা করেছি।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আলোচনা এখনও চলমান। আমাদের আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী দেবে না, তারা সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু আসনে আমাদের নিজস্ব প্রার্থী থাকবে। এ ব্যাপারে বিএনপির কোনো আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এরপর থেকেই বিগত সময়ের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। যুগপৎ আন্দোলনের প্রতিশ্রুতি ও জাতীয় সরকার গঠনের বিষয়টি তুলে ধরেছি। তবে বিএনপি স্পষ্টভাবে কিছু বলেনি।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আসনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বিএনপি।
এমকে/এসএন